নিউজ ডেস্ক :
২৬ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ইতোমধ্যেই এ নির্বাচন নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। নির্বাচন বানচালের চূড়ান্ত রূপরেখাও তৈরী হয়েছিল এ নির্বাচনকে ঘিরে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই ক্ষমতাসীন দল নির্বাচন বানচাল করেছে এমন প্রচার করা হয়। কিন্তু শেষমেশ নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের মামলার মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা এলে প্রমাণ হয়, বিএনপিই চেয়েছিলো নির্বাচন বাতিল করে সরকারকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে।
নির্বাচনের দিনক্ষণ এবার চূড়ান্ত। যা পেছাবার সুযোগ ও বন্ধ করার মত চক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও নেই আর। ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি হেরে যাওয়ায় মানসিকভাবে পিছিয়ে আছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। কিন্তু এ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি। কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর জয়লাভ গাজীপুরের নির্বাচনকেও প্রভাবিত করবে বলে ধারণা বিএনপির। তাই কেসিসি নির্বাচন যাতে গাজীপুরে ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করতে না পারে সে লক্ষ্যে কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কর্মীদের দ্বারা নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে এবং জাল ভোট প্রদান করা হয়েছে এমন বক্তব্য তুলে ধরছে বিএনপি। বিএনপির এমন অপপ্রচারের সুফল মূলত দুটো , প্রথমত আওয়ামীলীগের নীতিগত সমস্যার কথা বিবেচনায় সাধারণ মানুষের ভোট হারাবে আওয়ামীলীগ, অপরদিকে গাজীপুর নির্বাচনেও বিএনপি পরাজয় বরণ করলে নির্বাচনে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ যুক্তিযুক্ত হবে।
গাজীপুর নির্বাচনেও যদি খুলনার মত ফলাফল হয় তাহলে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে সবাইকে এভাবেই ১৭ মে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হুমকি দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল খুলনার মত হলে সরকারের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ বিএনপির কাছে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার এমন বক্তব্যে সহজেই অনুমান করা যায় যে, ব্যালট বাক্সে জয় না হলে মারামারি ও কাটাকাটিতে জয় তাদের অবশ্যম্ভাবী। জনগণ কে প্রকাশ্যে কোন হুমকি না প্রদান করলেও জনসংযোগের সময় হাসান উদ্দিন সরকার জনগণকে হুমকি ও ভয় ভীতি দেখিয়েছে বলে গাজীপুরবাসীর কাছে জানা যায়।
রাজনীতি হয় জনগণের কল্যানে, আর হুমকি ধামকির মাধ্যমে রাজনীতি জনগণ কীভাবে নেবে তা নির্বাচনের ফলই বলে দেবে।