যুক্তরাষ্ট্রের অাদালতে  সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা খারিজ

নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্ট।

২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি জ্যাকব মিল্টন ব্রুকলিনে অবস্থিত নিউইয়র্ক ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, জ্যাকব মিল্টন নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত একটি স্যাটেলাইট টিভির ভাড়া করা স্লটে ‘উই আর দ্য পিপল উইথ জ্যাকব মিল্টন’ শীর্ষক একটি টক শো করেন। সেই টক শোতে ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এ সাফাদিকে হাজির করা হয়। সেখানে মেন্দি দাবি করেন যে, জয়ের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত হওয়ার শর্তে জয় তাকে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন।

মেন্দির ওই বক্তব্য পুরোপুরি অসত্য বলে জয় পরবর্তী সময় এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। মেন্দির সঙ্গে তার বৈঠক তো দূরের কথা, কখনও সাক্ষাতও হয়নি বলে জয় চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সাফাদি আর কখনোই গণমাধ্যমে কিছু বলেননি।

জ্যাকব মিল্টন মামলায় অভিযোগ করেছিলেন, জয় ও তার সমর্থকরা তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জয় এবং তার দল আওয়ামী লীগের ‘অপপ্রচারে’ তার ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। এসব ঘটনা বিবৃত করে ৫০ কোটি ডলার (৪ হাজার কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় এই মামলায়। এর নম্বর ছিল ১:১৬-সিভি-০৪৫৪২-এমকেবি-জেও।

এ মামলায় যুক্তরাষ্ট্র্র আওয়ামী লীগকেও বিবাদী করা হয়েছিল। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানও পৃথক আইনজীবী নিয়োগ করেছিলেন। নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে প্রখ্যাত একটি ল ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছিলেন জয়। এই ল ফার্মের মাধ্যমে তিনি মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে প্রচলিত আইনে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন এবং ন্যায়ের স্বার্থে তা খারিজের আবেদন জানান।

ফেডারেল কোর্টের নথি অনুযায়ী, মিল্টন এই মামলা দায়ের করার পাঁচ মাস পর গত বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রাক-শুনানির দিনই আদালত সব অভিযোগ নাকচের সিদ্ধান্ত নেন। তখন মিল্টন পুনরায় সংশোধিত আকারে অভিযোগ পেশ করার অনুমতি নেন। এর আট সপ্তাহ পর পেশ করা অভিযোগে দেখা যায়, প্রথম অভিযোগনামার সাতটি একেবারেই নেই। এরপর বিচারক মার্গো কে ব্রুডি ৩০ মার্চ মিল্টনের মামলা খারিজের আদেশে স্বাক্ষর করেন।

মামলা খারিজের সংবাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ক্লিন ইমেজের স্পষ্ট প্রমাণ মিলল মার্কিন আদালতে।

সূত্র :সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *