নিউজ ডেস্ক :
কোটা প্রথা নিয়ে সাধারণ ছাত্র সমাজের মধ্যে শুরু হওয়া অসন্তোষকে বশীভূত করতে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে আন্দোলনকারীরা আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীরা তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মাদার অফ এডুকেশন উপাধিও প্রদান করে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু এর বেশ কিছুদিন পরে কোনো এক অজানা কারণে আবারো কোটা বিরোধী আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারিতে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করতেই এবারের আন্দোলন। তবে এবার ছাত্রদের নিভে যাওয়া আন্দোলনের আগুন উস্কে দিতে ভূমিকা রাখছে সরকার বিরোধী শক্তি।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে বিরোধী দলের মদদ ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এ আন্দোলন একেবারেই স্তমিত হয়ে যায়। কিন্তু থেমে থাকেনি চক্রান্ত।
বিএনপির দলীয় গোপন সূত্র হতে জানা যায়, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে গোপন বৈঠক করেছে বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতা। গুলশানে বিএনপির এক নেতার বাসায় অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি। মির্জা ফখরুল, মোশাররফ হোসেন ও আরো কিছু নেতা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, কিছু শিক্ষক ও আন্দোলনকারী ১২ জন শিক্ষার্থী।
বৈঠকে নতুন করে আন্দোলনের কৌশল এবং সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা হয়। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, এবার আন্দোলনে কোনো দমন পীড়ন হলে, শিক্ষকরাও রাস্তায় নামবে।
একাধিক সূত্র বলছে, কোটা আন্দোলন আর নির্বাচনের আন্দোলনকে কীভাবে একসূত্রে গাঁথা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব রোজার মধ্যে জনসংযোগ এবং প্রস্তুতি আর রোজার পরে সমন্বিত বড় আন্দোলন শুরু করার ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা পেশ করেন। ড. এমাজউদ্দিন কোটা আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্ব দেন।
ধারণা করা হচ্ছে, বিরোধী দলের আস্কারা পেয়েই কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলে সরকারের আশ্বাসের পরেও কঠোর আল্টিমেটাম দেয়ার মত সাহস পাচ্ছে।