বর্বরতার পরও ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইছে পশ্চিমা বিশ্ব :

নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার পরও ইসরায়েলের পক্ষেই সাফাই গাইছে পশ্চিমা বিশ্ব। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এমন ঘটনায় ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে কয়েকটি মুসলিম দেশও। তবে, সৌদি আরব-ইরানের মতো বড় কয়েকটি আরব দেশ এখনও নিশ্চুপ।

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের একমাত্র ভরসা, পাথর। অথচ, তাদের ঠেকাতেই অত্যাধুনিক সব মারণাস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেই বহরে, ড্রোন, স্নাইপার থেকে শুরু করে রয়েছে ভারি সাঁজোয়া যানও। সোমবার, বহুমুখী হামলায় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয় গাজা।

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনকে কেন্দ্র করে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ছড়ায় চরম উত্তেজনা। ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার হন মুক্তিকামী হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তবুও, অন্ধের মতো নেতানিয়াহু প্রশাসনের সাফাই গাইতে ব্যস্ত পশ্চিমা বিশ্ব।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, ইসরায়েলের স্বাধীনতার ৭০ বছরে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো। সর্বকালের মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেরুজালেমে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে নতুনভাবে জন্ম নিলো দেশটি। যা, প্রতিনিয়ত ধ্বংসের পায়তারা করছে হামাসের মতো সংগঠনগুলো।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, হামাসই সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের ঠেলে দিচ্ছে। মূলতঃ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে উসকে দিচ্ছে তারা। সংগঠনটির কারণে প্রাণ যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষের। এটা দুঃখজনক। কারণ, সংঘাত থেকে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি ছুঁড়বে সেটাই স্বাভাবিক।

নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি নেতারা। নিহতদের স্মরণে ঘোষিত হয়েছে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। একইসাথে, এসেছে ইসরায়েলেক মোক্ষম জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, সত্যি কথাটা হলো- জেরুজালেমে দূতাবাস নয় বরং অস্থায়ী কূটনৈতিক ফাঁড়ি স্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ, প্রাণ গেলো নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। তাদের স্মরণে পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি পালিত হবে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। মঙ্গলবার, নাকবা দিবসে ভূমির অধিকার রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখবে ইসরায়েল।

হামাস নেতা খলিল আল হায়া, বিশ্বকে আমাদের স্পষ্ট বার্তা শুনতে হবে। জায়নবাদীদের বর্বরতা না থামা পর্যন্ত হামাস ও কাশেম বিগ্রেডের প্রতিরোধ চলতে থাকবে। ইসরায়েলের বর্বরতার মোক্ষম জবাব দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *