নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৭নং জগদল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আটবাড়ি-রাজনগরের মধ্যখানে হান্দুয়া বিলের খালে নির্মিত ব্রিজটি উদ্বোধনের পূর্বেই দেখা দিয়েছে ফাটল! ব্রিজের মূল অংশের গার্ড ওয়ালে বড়বড় ফাটলের কারণে যেকোনো সময় ধ্বসে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ব্রিজের মূল অংশে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী তাই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাশ দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে জোড়াতালি দিয়ে। দিরাই উপজেলা পি,আই,ও অফিস থেকে দেওয়া তথ্যমতে প্রকল্প বরাদ্দ (৩৮,৮৯,৭৭৫/-) আটত্রিশ লক্ষ ঊনআশি হাজার সাতশত পঁচাত্তর টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিরাইয়ের নাইমুর রহমান এন্টারপ্রাইজ, প্রোঃ জসিম উদ্দিন তালুকদার (কুলঞ্জ)। ব্রিজের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ও কাজের মান বিবেচনায় সর্বসাকুল্য ৮-৯ লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে একাধিক এলাকাবাসীর অভিমত! বাকি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য পিআইও অফিস-নেতা-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে দায়সারাভাবে লুটপাটের জন্য অতিনিম্ন মানের কাজ করায় নির্মাণ কার্য শেষ হওয়ার আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিন তাং গ্লোবাল সিলেট কে বলেন- লাইসেন্স আমার হলেও কাজ করছি আমি ও পার্টনারশিপ নিয়ে কাজ করেছে জেলা পরিষদ সদস্য নাজমুল হক। ফাটল ধরার কথা স্বীকার করে জসিম উদ্দিন বলেন- আমরা ফাটল মেরামত করে কাজ সম্পন্ন করেছি!
এবিষয়ে পিআইও না থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। সহকারী পিআইও জাকির হোসেন বলেন- স্যার স্টেন্ড রিলিজ হওয়ায় আমি কিছু বলতে পারবোনা তবে বরাদ্দ পরিমাণ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম সরবরাহ করলাম!
পিআইও অফিসে ব্রিজের খোজ নিয়ে গিয়ে জানা যায়- একাধিকার ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য বলেন আমরা পি,আই,ও অফিসে জিম্মি! পিআইও কে টাকা না দিলে বিল পাওয়া যায়না, সহকারী জাকির টাকা ছাড়া ফাইল নাড়াচাড়া করেনা! আর প্রকল্প পরিদর্শক বিদ্যুৎ বাবুকে ঘুষের টাকা না দিলে ভাল কাজও গ্রহণযোগ্য হয়না আর টাকা দিলে কাজ না করেও বিল তুলতে সমস্যা হয়না এছাড়া অনেক ভূয়া প্রজেক্টের কারিগর এই বিদ্যুৎ বাবু! অনেক সদস্য এই নিয়মের কারণে ইচ্ছে করলেও শতভাগ কাজ করাতে পারেন না কিন্তু শুধু কাজ বাস্তবায়নকারী মাঠ পর্যায় জনপ্রতিনিধিরা একতরফা দোষী সাব্যস্ত হই প্রশ্ন তুলেন কয়েকজন।