ই-ভিলেজ : কৃষিতে ডিজিটাল বিপ্লব |বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও উদ্ভাবনের সাথে তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রত্যেক পদক্ষেপই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সফলতার চূড়ায়। এরই অংশ হিসেবে কৃষি খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে ‘ই-ভিলেজ’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চালু হয়েছে। যা কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে।

বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই প্রকল্পটি সামগ্রিকভাবে কৃষি খাতকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্পটি সম্পর্কে জানা যায়, এরইমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্পটি সফল হয়েছে। বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছে যা ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের ফলন ২০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদন খরচও ২০ ভাগ সাশ্রয় হবে। কারণ হচ্ছে রোগবালাইসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো যথাসময়ে চিহ্নিত করা যাবে ও যথাসময়ে তার প্রতিকার করা যাবে। অন্যদিকে, উপাদান ব্যয়ও ২০ ভাগ কমবে। যার ফলে এটি আশা করা যায়, কৃষকরা ‘ই-ভিলেজ’প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ ভাগ লাভবান হবে।

ডিজিটাল ডিভাইসটির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষক জানতে পারবে জমিতে কতটুকু সার, কতটুকু কীটনাশক লাগবে। জানতে পারবে কখন পানি দিতে হবে, মাটির পি এইচ লেভেল কত, বাতাসের আদ্রতা কতটুকু সে তথ্যও। বাংলাদেশের আবিস্কৃত মাল্টিসেন্সর ডিভাসটির মূল্য স্বল্প। যা খুব সহজেই একজন কৃষক পেতে পারবেন।

এ ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করবে? এ সম্পর্কে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি তার মাটিতে পুঁতে দিলে মাটির গুণগতমান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এরপর অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের একটি অ্যাপ চালু করে নির্দিষ্ট বাটনে চাপ দিলেই সমস্ত তথ্য মোবাইলে সংরক্ষণ হয়ে যাবে। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মাটিতে সার অথবা কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে।

ডিভাইসটি সকল স্তরের কৃষক খুব সহজেই চালাতে পারবে বলেও জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ‘ই-ভিলেজ’ সর্বস্তরের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *