নিউজ ডেস্ক :
শুধু জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন দেশের উন্নয়ন সূচক বৃদ্ধিতে রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পদ্মা সেতু নির্মাণের সাথে সাথে প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। আর তাই ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব সাধন করতে যাচ্ছে সরকার।
বর্তমানে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এই মহাসড়ক।
পদ্মা সেতু এবং এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকাজ একই সময়ে শেষ হবে। এ প্রকল্পটির আওতায় মহাসড়কে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস এবং ২১টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। সড়কের মাঝখানে পাঁচ মিটার প্রশস্ত মিডিয়ান থাকবে। ভবিষ্যতে এ মিডিয়ান ব্যবহার করে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মহাসড়কের দু’পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেন হচ্ছে। থাকছেনা কোনো ট্রাফিক ক্রসিং, নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করবে যানবাহন। মহাসড়ক অংশ দিয়ে চলবে দ্রুতগতির গাড়ি এবং ধীরগতি বা লোকাল যানবাহনের জন্য থাকবে আলাদা লেন। এছাড়া নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া লোকাল যানবাহন মহাসড়কে উঠতে পারবে না।
আধুনিক দেশের মহাসড়কের সব রকম সুযোগ সুবিধা বিশিষ্ট মানসম্মত এই ৪ লেনের মহাসড়ক নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দেশের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।