একজন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিকেএম এনামুল করিম

কাজী ইফতেখারুল আলম :-‘দিন যায় কথা থাকে’ সুবির নন্দীর কন্ঠে বিখ্যাত এ গানের সুরে সুর মিলিয়ে বলা যায় প্রশাসনেও একজন যায়, একজন আসে। কিন্তু ব্যতিক্রম হিসেবে থেকে যায় তার কর্মকান্ড। তেমনই একজন কর্মচঞ্চল, কাজ পাগল মানুষ পিকেএম এনামুল করিম।অচিরেই তিনি পদোন্নতি নিয়ে ফেনী থেকে বদলী হয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করবেন।

 

ভাষা শহীদ সালামের জন্মভূমি এই ফেনী জেলায়। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও জহির রায়হানের জন্মভুমিও এ জেলায়। এনামুল করিম ফেনী সদর উপজেলায় যোগদান করার পরই থেকেই পাল্টে যেতে থাকে  চিত্র।

 

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ফেনী সদর উপজেলায় যোগদান করেন ইউএনও পিকেএম এনামুল করিম।

 

যোগদানেের পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিকেএম এনামুল করিমের কাছে গিয়ে নিরুপায় হয়ে ফিরে এসেছেন এমন অভিযোগ কারী সদরে বিরল। মানুষের পারিবারিক, সামাজিক থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই যে তিনি করে দেন নাই।

তিনি ফেনী সদর উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে বাল্য বিবাহ প্রায় বন্ধই গেছে। বিয়ের কাজী থেকে শুরু করে বর কনের কেউই এখন আর রাজী হয় না বাল্য বিবাহে। আতংক আর সচেতনতা যাই হোক বাল্য বিবাহ বন্ধের প্রায় শতভাগ সাফল্য তারই।

 

বিশেষ করে তিনি শহরের রাজাঝীর দিঘীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করে সর্বমহলে প্রশংসিত হন।

বিভিন্ন অভিজানের ফলে ফেনী শহরের রাস্তার ফুটপাত দখল মুক্ত করার ফলে শহরে জানজট অনেকটাই কমে গেছে।

 

তিনি সকল কাজের পাশাপাশি একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবেও সকলের কাছে পরিচিত।

জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে প্রতিষ্ঠা করেছেন জবাবদিহিতা। সাফল্য স্বরুপ তিনি অল্প সময়েই পেয়েছেন সদর উপজেলার আপামর জনসাধারনের ভালবাসা আর আন্তরিকতা।

কাজ পাগল সফল এ মানুষটির জন্য শুভ কামনা থাকলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *