কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতা কেন ?

নিউজ ডেস্কঃ

কোটা সংস্কারের দাবিতে গতকাল ঢাকায় শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদের আন্দোলন রূপ নিয়েছে ভাঙচুর-অরাজকতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায় সড়কে ইটের টুকরা, কাঠ, বাঁশের ছড়াছড়ি। জায়গায় জায়গায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী। জানা যায়, রাতে আন্দোলনকারীদের একাংশ উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাসভবন প্রাঙ্গণে থাকা দুটি গাড়িতেও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়িয়ে কোটা প্রথার এই আন্দোলনের নাশকতা সংসদেও সমালোচিত। সংসদের ২০তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সোমবার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারনা হালিম সহ অনেকেই এই নাশকতার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারনা হালিম বলেন, ‘দাবি সকলের থাকতে পারে। দাবি যৌক্তিক। দাবি আদায় সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেটার জন্য রাতের আঁধারে উপাচার্যের বাড়িতে ঢোকা, তার আলমারী ভাঙচুর, স্ত্রীর ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনতাই, জাতির জনকের প্রতিকৃতি ভাঙা- এটাকে কোনোভাবেই আমরা দাবি আদায়ের পথ বলতে পারি না। আন্দোলন বহু দেখা গেছে। কিন্তু কোনো দিন এই ধরনের নৈরাজ্য সৃস্টিকারী আন্দোলন দেখি না। তারা ঘরে ঢুকে স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ করছে। আর স্ত্রী সন্তান বাড়ির কোণে বাগানে লুকিয়ে ছিল’। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কোটা নিয়ে যে আন্দোলন, সেটা এখন আর আন্দোলনের মধ্যে নেই। এটি বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ।এই বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্কভাবে মোকাবিলা করতে হবে’।

গতকাল বেলা ১টা ৫০ মিনিটে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ধাওয়া দেন। পুলিশ প্রথমে টিএসসি ও পরে বাংলা একাডেমির কাছে গিয়ে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশ ও বহিরাগতদের ঠেকাতে বাঁশ ফেলে রাস্তায় ব্যারিকেড দেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালান তারা। যাতে ভোগান্তিতে পরে উক্ত এলাকায় থাকা সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রোববার রাত থেকে সহিংসতা শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তবে এই সাধারণ আন্দোলনে রাজনৈতিক আন্দোলনের মতো সহিংসতা সর্বমহলেই এখন সমালোচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *