কোটা বিরোধী আন্দোলন,সহিংসতা এবং কিছু প্রশ্ন | বাংলারদর্পন

অাশ্রাফুল অালম খোকন >>>

সরকারি চাকুরীতে নারী কোটা, জেলা এবং উপজাতি কোটা মিলিয়ে প্রায় ২৫% শতাংশ। কোটা বিরোধী আন্দোলনে দেখলাম নজিরবিহীন ভাবে রাত ১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে গিয়ে মিছিলে অংশ নিয়েছে। আন্দোলনে যারা অংশ নিচ্ছে তারাও কোনো না কোন জেলা থেকে আগত। ক্যামেরার ছবিতে কিছু উপজাতি চেহারাও দেখেছি। এরমানে তারা চাকুরীতে তাদের কোটা থাকুক তা চায় না। আন্দোলনকারীরা যদি তাদের কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে, এর মানে তারা তাদের কোটা চায় না। আন্দোলনকারীদের সংস্কারের দাবী অনুযায়ী এই ২৫ শতাংশ কমে গেলেও অনেক কমে যায়।

 

কোটাপ্রথার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কি সম্পর্ক তা জানিনা। ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ে যুগে যুগে এর চেয়ে বড় ও সহিংস আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু উপাচার্যকে লাঞ্চিত করা , বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা, বিছানাপত্র এমনকি খাবার,হাড়ি পাতিলে আগুন ধরিয়ে দেয়া কোটা বিরোধী আন্দোলনের কোন ধারার মধ্যে পরে আমি জানিনা। যারা কোটাবিরোধী সমর্থক তারা জানলে একটু জানাবেন।

 

সরকারের শেষ বছরেই কেন আপনারা কোটাবিরোধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেন কেউ কি বলতে পারবেন ?

 

দেশে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র রয়েছে। ৭৫ এর পর যারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী থাকবে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে আমাদের হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের বিরুদ্ধেও ? এটাতো ধর্মান্ধ জঙ্গি কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যারা পহেলা বৈশাখ ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে। কাল কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা চারুকলার ভিতরে ঢুকে মঙ্গল শোভাযাত্রার সব স্ট্রাকচার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা এটা কেন করেছেন তা বোধগম্য নয়।

 

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে কারণ তা সহিংস ছিলোনা। তারা সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন করেছে যা ছিল পুরোপুরিই শান্তিপূর্ণ।

 

আমার কথা হচ্ছে স্পষ্ট যে কোনো সিদ্ধ্বান্তের পক্ষে বিপক্ষেই মত অমত থাকতে পারে। এই নিয়ে যুক্তিতর্ক হবে, আন্দোলন হবে। কিন্তু তা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক হতে হবে। এই আন্দোলনের মতো সহিংসতা কাম্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *