নিউজ ডেস্ক :
হামলাকারীরা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, এরা প্রশিক্ষিত একটি দল। মুখোশধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রাষ্ট্রের পতন, ঢাবির পতন ও সরকারের পতনের জন্য লাশের রাজনীতি করতে এই তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, গতকাল রাতে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। এরা প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী লাশের রাজনীতির জন্য তারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে।
বিডিআর বিদ্রোহের হামলাকারীদের মতো মুখোশ পড়ে তারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের হামলার ধরণ দেখেই বোঝা গেছে, যে তারা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, এরা প্রশিক্ষিত একটি দল।
তিনি বলেন, আমি সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবিটি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি, তখন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয় এবিষয়টি সরকার সক্রিয় ভাবে দেখছে। এই কথাটি আমি যখন শিক্ষার্থীদের বলতে আসি তখনই রাত ১টার দিকে লোহার রড দিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের উপর প্রাননাশের জন্য হামলা করা হয়।
‘আশেপাশে কয়েকজন যদি আমাকে না বাচাঁত, তাহলে আমি হয়তো আপনাদের সামনে বসে কথা বলতে পারতাম না। আমার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই এই হামলা করা হয়।’
তিনি বলেন, হামলার আলামত নষ্ট করতেই ভিসি বাস ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুরসহ সেখানের হার্ডডিক্স চুরি করে নিয়ে গেছে। পুরো ভবনের সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনায় মামলা করা থেকে শুরু করে সকল আইনি প্রক্রিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হবে। কারণ ভিসি এবং ভিসি বাসভবন সরকারি সম্পত্তি, হামলার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বও সরকারের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানান তিনি।