জুলফিকার আলী মাসুদঃ
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে এক অভিজাত রাজনৈতিক আওয়ামী পরিবারে সম্রাটের জন্ম। তার পিতা মরহুম ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন রাজারবাগ ইউনিয়ন(বর্তমান রমনা থানা) আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। সার্কিট হাউজ রোডে আওয়ামী লীগের অফিস ছিল। বঙ্গবন্ধু এখানে আসতেন, অফিস করতেন। সম্রাট এর বাবার সাথে বঙ্গবন্ধুর ছিল ঘনিষ্ঠ পরিচয়। তার দুনিয়ায় আগমনে, বঙ্গবন্ধু তার পিতাকে বলেন তোর ছেলের নাম রাখবি ‘সম্রাট। বঙ্গবন্ধুর নাম দেওয়া সেই সম্রাট’ই আজকের সম্রাট।

শিশুকাল থেকেই তার রাজনৈতিক হাতেখরি। ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর রমনা থানা ছাত্রলীগ ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন সম্রাট। তখন পার্টির খুবই দুঃসময়। অবিভক্ত মহানগর ছাত্রলীগ এর সভাপতি শহীদুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান কচি। ছাত্র জীবন থেকেই সম্রাট ছিলেন খুবই মেধাবী। তার বিচক্ষণ রাজনৈতিক দুরদর্শিতা দেখে সবাই মুগ্ধ। সম্রাট তখনকার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে বহুবার বঙ্গবন্ধুর তীর্থভূমি টুঙ্গাপাড়ায় গিয়েছেন। রমনা থানা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তখন এই সম্রাট বৃহত্তর রমনা থানা যুবলীগের আহ্ববায়ক। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ঢাকার রাজপথে। যেই মিছিলে নুর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিলেন, সম্রাট সেই মিছিলের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তার অসীম সাহসিকতা দেখে কেন্দ্রীয় যুবলীগ তাকে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করেন। ২০০১ সালের পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সম্রাট আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস সহ ঢাকার রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। যখন তৃনমুলের নেতাকর্মীরা খেতে পেত না, তখন সম্রাট পার্টি অফিসে নেতাকর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। জানা যায় অনেক বার তিনি তার মায়ের গহনা বিক্রি করে এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের খাবার কিনে দিয়েছেন।
গত আট বছর সম্রাট ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সভাপতি। ঢাকার রাজপথে প্রিয়নেত্রীর যত বড় বড় সমাবেশ হয়েছে, সকল সমাবেশ সম্রাট নান্দনিক ভাবে সফল করেছেন। প্রিয়নেত্রী বার বার বলছেন, আমার তৃনমুলের নেতাকর্মীরা অবহেলিত। ঢাকায় এমন কোন রাজনীতিবিদ বলতে পারবেন, তারা তৃনমুলের নেতাকর্মীর খবর নিয়েছেন?
হ্যাঁ একমাত্র সম্রাটই প্রতিদিন তৃনমুলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাদের সকল সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। সম্রাটের যোগ্য নেতৃত্বে যুবলীগ আজ ঢাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী দূর্গে পরিনত হয়েছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী এজন্যই দক্ষিণ যুবলীগকে শ্রেষ্ঠ ইউনিট এবং সম্রাটকে সারা বাংলার সেরা যুব সংগঠক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক শ্রেণীর সাংবাদিকরা সম্রাটকে সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে লিখছেন। খুবই দুঃখজনক, সম্রাটের পিতা এবং তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন না জেনে আপনারা যারা লিখছেন, তারা এই ইতিহাস জানুন।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এর জন্ম ঢাকার রাজপথে একদিনে সৃষ্টি হয়নি। প্রায় তিন যুগধরে তার রাজনৈতিক ইতিহাস। ষড়যন্ত্রকারীরা এক সময় পরাজিত হবেন, সম্রাট আবারো বীরের বেসে প্রিয়নেত্রীর পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে রাজপথে আসবেন।