নিউজ ডেস্ক :
কোটা সংস্কার নিয়ে নতুন করে আন্দোলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাছে এ ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাকে চাপ দিয়ে লাভ হবে না। চাপের কাছে আমি নতি স্বীকার করি না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি তো বলেই দিয়েছি কোটা বাতিল, তারপর এর আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করবে না?’ সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেখি তারা কতদূর যায়।’
এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা বাতিলের ব্যাপারে যে কমিটির প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন, তাতে কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পেশ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, তাই প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, আগে কমিটি বসে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করুক। তারপর যেসব ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা প্রয়োজন সেই সব ক্ষেত্রের জন্য আলাদা নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সেই কমিটির জন্য একটি টার্মস অব রেফারেন্স তৈরি করা হবে। যাতে সংবিধানের আলোকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা এবং সরকারি চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে কমিটি।
এছাড়াও কমিটির মেয়াদ কতদিন হবে সেটিও টার্মস অ্যান্ড রেফারেন্স এ উল্লেখ থাকবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করতে আহ্বান জানাতে দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন।
দলের সাধারণ সম্পাদককে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওদের জানা উচিত, কথা দিয়ে কথার বরখেলাপ আমি করি না।’