নিউজ ডেস্ক :
এই ‘জাতীয় ঐক্য’ কিংবা ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য’ এসব স্লোগান আমরা শুনে আসছি অনেক আগে থেকেই। ড. কামাল হোসেন তো গণফোরাম গঠনই করেছিলেন জাতীয় ঐক্যের কথা বলে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে দীর্ঘ প্রচেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য, সেটা রাষ্ট্রের কতটুকু কল্যাণের কথা চিন্তা করে!
আগে যেখানে ছিলেন, সেখান থেকে কি কয়েক কদমও অগ্রসর হতে পেরেছেন? নাকি পিছিয়েছেন আরও? যদি অগ্রসর হতে না পারেন, তাহলে কিন্তু মনে করার সুযোগ থাকে যে, তার লক্ষ্য নির্ধারণ কিংবা কর্মপদ্ধতিতে ভুল ছিল।
ব্যর্থতা তার নীতিগতভাবে যেমন, ভোটের রাজনীতিতেও তেমনি। এই যে ছোট ছোট দলের বড় নেতা হয়ে বসে রয়েছেন , কী পরিমাণ ভোট তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন? এই যে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কি তার অর্জন!
নিজেকে সংবিধানের প্রণেতা দাবি করা এবং বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে নির্বাচন করা ছাড়া কি আর তার অর্জন! আর এই যে জাতীয় ঐক্যের বুলি তিনি মুখে আওড়াচ্ছেন গনমানুষের অংশগ্রহণ তাতে কতটুকু!
যতই গালভরা নাম রাখুন জাতীয় ঐক্য কিন্তু তাতে একটি এলাকার ঐক্য ও আছে কিনা সন্দেহ ।নেই কোন বড় দলের অংশগ্রহণ, নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক বলে দাবি করা কামাল হোসেন এখন ঐক্য করেছেন দেশবিরোধী জামায়াত –বিএনপির সাথে । যাদের রাজনীতি থেকে আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে জনগণ অনেক আগেই।
শুধু কামাল হোসেন ই নয় ঐক্যের অন্য যেসব নেতা আছেন তাদের সকলের ভোট এক করেও ৩ শতাংশ হয় কিনা সন্দেহ
আকষর্ণীয় নীতি নেই, যতটুকুও আছে তার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের কোনো মিল নেই, কর্মপদ্ধতিও আকর্ষণ করে না সাধারণ মানুষকে, ভোট ব্যাংকে নেই উল্লেখ করার মতো কোনো অংশীদারিত্ব, তবুও তারা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক— এমন দাবি বোধ করি গ্রহণযোগ্য নয়।
যে বয়সে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে হয়, সে বয়স তার পেরিয়ে গেছে অনেক বছর আগেই। মানুষের কর্মদক্ষতা প্রমাণের, সমাজকে নতুন কিছু দেওয়ার একটা বয়স থাকে। বৃদ্ধ বয়স সৃষ্টির জন্য উপযোগী নয়। তা সে সৃষ্টি মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, এমনকি শারীরিক, যেটাই হোক না কেন। তবে সেটা কতটুকু সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায়, আর কতটা ভোগের লালসায়, সেটা বলা মুশকিল।