তারেককে সরিয়ে নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ?

 

নিউজ ডেস্ক :

তারেক জিয়াকে বিএনপি প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবার জন্য অনুরোধ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ভারত আলাদা আলাদা ভাবে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে এই অনুরোধ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং ড. মঈন খানকে ওই তিন দেশের কূটনীতিকরা এই অনুরোধ করেছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে।

এর আগে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এই দেশগুলোর সঙ্গে বেগম জিয়ার কারাজীবন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্রিফ করেন। ১৪ টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির দুই দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া কোনো উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রই খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে কোনো উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা জানায়নি। বরং তারা বেগম জিয়ার অনুপস্থিতে তারেক জিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে।

বেগম জিয়ার গ্রেপ্তারের ১০ দিনের মাথায় প্রভাবশালী তিন দেশ তারেক জিয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অবস্থান নিল। সূত্র মতে, মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা শনিবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে তারেক জিয়াকে নির্বাচন সময় পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখার অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হলো, বেগম জিয়ার মতো তারেক জিয়াও একজন দন্ডিত আসামি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট তার কাজকর্মের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। সে কারণেই তারেক জিয়া বিএনপির নেতৃত্বে থাকলে বিএনপির প্রতি কোনো মার্কিন সহানুভূতি সম্ভব নয় বলে মার্কিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম অবশ্য বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে রোববার দুপুরে বাংলাদেশের ব্রিটিশ দূতাবাসের একজন পদস্থ কর্মকর্তা সাক্ষাৎ করেন। ব্রিটিশ কূটনীতিক মওদুদকে বলেন, ‘তারেক জিয়া লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। তাই তার পক্ষে বিএনপির নেতৃত্ব দেওয়া অসম্ভব।

ব্রিটিশ কূটনীতিক মনে করেন, তারেক জিয়াকে বিএনপির নেতৃত্বে রাখা প্রচলিত আইন আদালত ও বিচার ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করার শামিল।

রোববার সকালেই ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারতের ওই কূটনীতিক বলেন, বিএনপির নির্বাচন প্রশ্নে কিছু দাবি দাওয়া যুক্তিসংগত হবার পরও তারেক জিয়ার জন্য ভারত কোনো কর্মসূচিতেই সমর্থন দিতে পারছেন না। ভারত এটাও বলেছে, বিএনপির নেতা তারেক জিয়া থাকলে সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারকে কোনো চাপ দেবে না ভারত।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, শিগগিরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক বসবে। সেখানে তারেক জিয়ার বদলে নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, এটিই বিএনপি ভাঙ্গনের প্রথম ধাপ কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একই ভাবে ড. খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার মওদুদ নাকি অন্য কেউ আপদকালীন সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবেন, তাও এখনো চূড়ান্ত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *