প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমস্যার কথা তার কাছেই শুনতে হবে : সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

ঢাকা: অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বলেছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কী সমস্যা তা তার কাছ থেকেই শুনতে হবে এবং তাদের অসুবিধা, মানবাধিকার ও স্বপ্নপূরণের কথা শুনলেই আমাদের দেশ উন্নতি দিকে ধাবিত হবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলা-২০১৭ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (০১ জানুয়ারি) আগারগাঁও বিসিসি ভবনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির (সিএসআইডি) উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুতুল বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি তা বদলাতে হবে। টেকনোলজির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সব বাধা দূর করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আজকে বছরের প্রথম দিনটা প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে অন্যভাবে শুরু হলো।
আইসিটি সেক্টরের সব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো হবে প্রতিবন্ধী বান্ধব হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরে সাড়ে তিন হাজার প্রতিবন্ধী ভাই-বোনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরি নিশ্চিত করা হবে এবং আইটি সেক্টর ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ২৮টি সেন্টারে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষকে সঙ্গে নিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের সুরক্ষার আমাদের সবার দায়িত্ব।
সিএসআইডির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম বলেন, বছরের প্রথম দিনটি একটি উজ্জ্বল দিন হয়ে থাকবে। যার আলো সারা বছর দিয়ে আলোকিত করবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধীদের তথ্যপ্রযুক্তি কাজে নিয়োগে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তৃতীয় বারের মতো এ মেলা আয়োজিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী মো. শাহজাহান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা কোটায় চাকরি চাই না, যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি চাই। কারণ চাকরি আমার অধিকার। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ চাকরি দেওয়ার সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আমেনা ফাহমিনা খাতুন বলেন, আমি এর আগের মেলায় এসে চাকরি পেয়েছি। এখন এ চাকরিটা আমি করছি যা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। জব ফেয়ারে না এলে হয়তো চাকরি হতো না।
মতিউর ইসলাম বলেন, আমি প্রতিবন্ধী হয়েও এখন খাদ্য বিভাগে চাকরি করছি। চাকরি জীবনে আমাদের ওপর নেতিবাচক মনোভাব ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সুন্দরভাবেই কাজ করি।
সিএসআইডির কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের কোনো একদিকে কমতি থাকলেও অন্যদিকে ক্ষমতা বেড়ে যায় যা তাদের সাধারণ কর্মীদের চেয়ে বেশি দক্ষতা দেখায়।
নিজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়েও নুসরাত জাহান প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, তাহলেই সব বাধা দূর হয়ে যাবে।
প্রতিবন্ধী কর্মীরা কাজের দক্ষতা অন্যকারো চেয়ে কম নয়। শুধু জব খোঁজা নয়, নিজেও জব দেওয়ার জন্য নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Related News

ফেনীতে দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট, সেবা গ্রহীতাদের চরম ভোগান্তি | বাংলারদর্পণ
জহিরুল হক মিলন, ফেনী ফেনীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত ফি বা উৎকোচ ছাড়াRead More

জরাজীর্ণ মঙ্গলকান্দি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র : চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত | বাংলারদর্পণ
গাজী মোহাম্মদ হানিফ, সোনাগাজী : সোনাগাজী উপজেলার ৩নং মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নে মঙ্গলকান্দি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির জরাজীর্ণ ভবনে অস্বাস্থ্যকরRead More