জনদুর্ভোগ : সোনাগাজীর জমাদার বাজার সড়কের বেহাল দশা

ফেনী’ :
উপজেলার ব্যস্ততম ওলামা বাজার থেকে জমাদার বাজার সড়কের বেহাল দশা। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের । এলজিইডির এই পাকা সড়কের পিচঢালাই উঠে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য খাদা-খন্দ। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীরা নিয়মিত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

প্রায় ৫কিঃমি সড়ক যথা সময়ে সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । ওলামা বাজার থেকে জমাদার বাজার, কারামতিয়া, কাজির হাট, দাগনভূঁইয়া যাওয়ার জন্য যানবাহন গুলো এই রাস্তা ব্যবহার করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির কোথাও পিচঢালাই উঠে ইট ও ইটের খোয়া বেরিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে পানি জমে আছে খাদা-খন্দে। রাস্তার পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় সব সময় পানি জমে থাকে। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে। ভোগান্তি পোহাতে হয় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী ওলামাবাজার মাদ্রাসা, ওলামাবাজার উচচ বিদ্যালয়সহ ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী ,শিক্ষকসহ চর ছান্দিয়া এবং চর দরবেশ ইউনিয়নের জনগন । রাতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই সড়কে কোনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি।

রাতে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়, হাঁটতে গেলেই হোঁচট খেতে হয়। অটোরিকশা চালকরা বলেন, আমরা এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জমাদার বাজার থেকে ওলামা বাজার,ওলামা বাজার থেকে জমাদার বাজার, কারামতিমায়া বাজার যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করি। ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। প্রশাসনের সহায়তা না পেয়ে এ রাস্তায় চলাচলকারী অটোরিকশা চালকেরা বর্ষার সময় সড়কের খাদা-খন্দে ইটের খোয়া ফেলে কোনোমতে সড়ক চলাচল উপযোগী রাখেন।

তবে স্থায়ী সংস্কার না হওয়ায় প্রায় দু-তিন বছর ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। স্থানীয় দোকানদার শিমুল দাস ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এলাকায় কোনো রিকশা ও আসতে চায় না। অটোরিকশা, সিএনজি এলেও দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবীতে কয়েক দফায় এলাকাবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বারবার অবগত করলেও আজ অবধি উক্ত সড়ক সংস্কারের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেন খান জানান, ব্যাস্ততম এই সড়কটি সংস্কারের জন্য নির্বাহি প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। আশাকরি বর্ষা মৌসম শেষে সংস্কার করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *