এস,এম,ওয়াহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ থেকেঃ-
আবাহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হেমন্তে “মেলা” যা চলে আসছে যুগযুগ ধরে। মেলার আশেপাশের গ্রামে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায় দিনক্ষণ সামনে আসলে। দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন এর আগমন বাড়তি আনন্দন যোগ করে সংশ্লিষ্ট এলাকাজুড়ে। মেলায় বাহারি পণ্যসামগ্রী ক্রয়বিক্রয়, বিনোদন মূলক খেলাধুলা প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। কাল পরিক্রমায় “মেলা” এখন অশ্লীল নিত্য, টপ-বটম লেস স্বল্প বসনা নর্তকীদের নগ্ন যাত্রাপালা ও মদ জুয়ার আসরে পরিণত হয়েছে! মেলাকে ঘিরে অবাধ মাদক ক্রয়বিক্রয় এবং সেবনের হাটে রুপান্তরিত হয়েছে। মেলার মৌসুমে বাড়ছে চুরি-ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা। তাই ভদ্রসমাজ আগেকার মত পরিবার স্বজন নিয়ে গ্রামীণ মেলায় যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননা। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে আবাহমান কাল থেকে চলে আসা উৎসব মুখরিত মেলা।
আগামীকাল ঐতিহ্যবাহী ধলের মেলাঃ- বাংলাদেশের বিখ্যাত গ্রামীণ লোকজ মেলার অন্যতম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ধলের মেলা যা ধল গ্রামের কালনি নদীর দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। মদ, জুয়া, ভেরাইটি শো, অশ্লীল নিত্য আর অবাধ মাদকের কালো থাবায় মলিন ধলের মেলার ঐতিহ্য! প্রতিবছর বসন্ত বাতাসে ফাল্গুনের ফুল শোভিত ক্ষণে টানটান উত্তেজনা আর আশংকা নিয়ে আসে মেলা। মেলার নামে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে আবেদন জানিয়ে এলাকাজুড়ে একাট্টা সমাজহিতৈষী যুবজনগোষ্ঠী।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব পৃথক আবেদনে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন, আখলাকুর রহমান, তাড়ল ইউপি সদস্য ২নং ওয়ার্ড মোঃ লাল মিয়া, শফিকুর রহমান চৌধুরী ৩নং ওয়ার্ড, সাবেক ইউপি সদস্য কবির মিয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলি ও মহিদুল হাসান রনি প্রমুখ।
সাংবাদিক মোহাম্মদ আলি এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে বলেন- জেলা প্রশাসক জনাব সাবিরুল ইসলাম, ধলের মেলায় জুয়া সহ অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে সহমত পোষণ করে তাৎক্ষণিক ভাবে দিরাই ইউ,এন,ও, মঈনুদ্দিন ইকবাল কে ফোনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং মেলার নামে জুয়া,অশ্লীল নিত্য, যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আমারা আশাকরি কালো টাকা আর রাজনৈতিক চাপের কাছে উনারা নতিস্বীকার না করে অসামাজিকতা রোধে ভূমিকা রাখবেন।