শিবলী বেগকে জড়িয়ে অপবাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নবাসীর প্রতিবাদ সভা  

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলাধীন জগদল ইউনিয়ন পরিষদের নন্দিত চেয়ারম্যান দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, শিবলী আহমদ বেগ’র বিরুদ্ধে আক্কাছ আলী ও ভুতু মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগে আবেদন কে উপলক্ষ করে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে দলমত নির্বিশেষ এক প্রতিবাদ সভা বড় নগদিপুর বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বক্তারা- চেয়ারম্যান শিবলী আহমদ বেগ’র বিরুদ্ধে বিতর্কিত দুই ব্যক্তির দুর্নীতির অভিযোগে আবেদন কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যযন্ত্র আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন- শিবলী আহমদ বেগ এর জনপ্রিয়তায় ঊর্ষান্বিত হয়ে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পূর্ব শত্রুতার জেরে নোংরা অপপ্রচারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আবেদনকারী একজন ২০বছর হতে এলাকার বাহিরে অন্যজন পেশাদার চুর আখ্যায়িত করে বক্তব্য রাখেন এলাকার গণ্যমান্য একাধিক ব্যক্তিগন। আজ বিকাল ৪ ঘটিকায়- নগদীপুর বাজার কমিটির সভাপতি লাল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায়, প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- সাবেকব ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক,বাজার কমিটির অর্থ সম্পাদক মখলিছ মিয়া কৃষক দলের সভাপতি ওমর ফারুক আমৃত, সাবেক মেম্বার নুর উদ্দীন, সমাজ সেবক বদরুজ্জামান চৌধুরী বকুল, সমাজ সেবক খছরুজ্জান চৌধুরী মধু,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, সাবেক মেম্বার জমসেদ মিয়া,  প্রমুখ।

এসময় উপস্হিত ছিলেন অভিযোগকারী আক্কাসের চাচা আব্দুস সত্তার, দ্বিতীয় অভিযোগকারী ভুতুর চাচাত্ব ভাই হারুন মিয়া, সিরাজুল,নজরুল, লিটন, সাবেক মেম্বার আব্দুল মতিন, মাখন মিয়া, সুলেমান খাঁন, ডাক্তার শফিকুল হক কাছা মিয়া, সমছু মিয়া,মজন্দ মিয়া,জিলা মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া যুবসমাজের পক্ষে, আলম হুসেন রতন,  ইমন আহমেদ,মুক্তি, সুলেমান খান, সুজাত, মাহমদুল হাসান বাবলু,আজহার মাহমুদ, আলী হুসেন,মনির মিয়া, লিটন মিয়া,রেজু,মিছলু প্রমুখ।

উল্লেখ্য দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন, বড়নগদীপুর গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও দিরাই পৌরসভার সুজানগরের বর্তমান বাসিন্দা, আছদ্দর মিয়ার ছেলে আক্কাস মিয়া এবং আব্দুল হাসিমের ছেলে ফরিদ মিয়া ওরফে ভুতু মিয়া।

আবেদনকারী তাদের দরখাস্তে উল্লেখ করেছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান শিবলী বেগ, ১৬৫ টি ভিজিএফ কার্ড স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভূয়া নামে রেখে নিজে উত্তোলন করছেন এবং ৩০ কেজি চাউলের স্থলে ২২-২৩ চাউল দিচ্ছেন এছাড়া নগদ ৫০০ টাকার বদলে ৩০০/- দিচ্ছেন বলে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে উল্লেখ করেন। এবিষয়ে- সরেজমিন একেএকে কয়েক জনের মুখোমুখি হলে বাংলার দর্পণ কে জগদল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও দুইবারের নির্বাচিত ১নং ওয়ার্ড সদস্য নুর আলম বলেন- সরেজমিন যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন চেয়ারম্যান সাহেব ধার্য তারিখে শুধুমাত্র বিতরণ কার্য আমি উদ্বোধন করেন। আমরা প্রত্যেক ইউপি সদস্য/সদস্যা মাস্টার রোল মত ধারাবাহিক ক্রমানুসারে কার্ডধারী সুবিধাভোগী জনগণকে চাউল ও টাকা বিতরণ করি। উনি উপকারভোগীদের কার্ডে হস্তক্ষেপ করা দূরে থাক কোন সদস্যের কাজেই প্রভাব বিস্তার করেন না, আমরা বিধিমত তা বিতরণ করি। ১৬৫ ভিজিএফ কার্ড আত্মীয়কে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে নুর আলম বলেন, আমার ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান শিবলী বেগের গ্রাম, এখানে তালিকা তৈরি ও বিতরণ আমার মাধ্যমে হয়। ২২৫০ ভোটারের ওয়ার্ডে ভিজিটি কার্ড পেয়েছি ৬০টি। ভিজিএফ কার্ড ১নং ওয়ার্ডে ছয়হাড়া নগদি পুর- ১২০ টি কাউয়াজুরি-৯০ টি ও বড় নগদি পুর- ১৩০টি মোট ৩৩০ টি কার্ড তন্মধ্যে চেয়ারম্যান শিবলী বেগ’র গ্রামে ১৩০ টির মাঝে দুই অভিযোগকারী আক্কাছ ও ভুতুর গোষ্ঠীতে প্রায় ৪০টি কার্ড অন্য ৭গোষ্ঠীতে ৯০ টি কার্ড তার মধ্যে চেয়ারম্যান সাহেবের আত্মীয় স্বজন গোষ্ঠীতে মাত্র ১০ টি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১৬৫ টি কার্ড চেয়ারম্যান নিজের আত্মীয়স্বজন কে দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে ও হাস্যকর। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খেলা বেগম ও উপকারভোগী রইছ মিয়া এবং সুজা মিয়ার

বক্তব্য একি। উনারা বলেন আমরা ৩০ কেজি চাউল ও ৫০০ টাকা করে নিয়মিত পাচ্ছি কোনদিন কম পাইনি চেয়ারম্যান সাহেবের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা নিন্দা জানাই।

এলাকার নিরপেক্ষ ব্যক্তি জনাব মনিরুজ্জামান চৌধুরী মধু সহ বাংলার দর্পণ কে একাধিক ব্যক্তি বলেন চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে উনাকে বিতর্কিত করতে এসব রটনা করছে। এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়,

অভিযোগকারী আক্কাছ মিয়া ২০ বছর পূর্বেই বড় নগদিপুর গ্রাম ছেড়ে দিরাই পৌরসভার বর্তমান সুজা নগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা,

অনেক বছর পূর্বে পুকিডর গ্রামে ছাগল চুরি করে এলাকা ছেড়ে সিলেট বিভিন্ন সিনেমা হলের দারুয়ান ও আবাসিক হোটেলের বয় হিসাবে কাজ করতো আর এলাকাতে ফিরে আসেনি। মাঝেমধ্যে আত্মীয়স্বজন কে দেখতে বছর দুইএক পর আসে, আর ফরিদ ওরফে ভুতু মিয়া সে একজন পেশাদার চুর, একাধিকবার চুরির অভিযোগে আর্থিক জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তি এলাকাবাসী দিয়েছে এই প্রকৃতির লোক জনস্বার্থে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে  অভিযোগ দিয়েছে তা কেমন হবে আপনারাই বুঝে নেন। আজ আমাদের এলাকাবাসীর বৈঠকে ভুতুর আপন ভাই সাইদুর রহমান ওরফে কাচা ও চাচাতো ভাই দেলোয়ার কবলেছে আমরা ৩০কেজি চাউল ও ৫০০/- নগদ সকল সময় পাচ্ছি আমরা আমাদের ভাইয়ের অন্যায়ের সাথে নেই এটা মিথ্যা অপবাদ, আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেন আমরা চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর পক্ষে আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *