নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর্যটন খ্যাত রামসার প্রকল্পভুক্ত টাঙ্গুয়ার হাওরে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন তিতুমীর কলেজ ছাত্র জয়েদ চৌধুরী (২৫)!।
শুক্রবার সন্দায় তার মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানান ,তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান।
নিহত জাহেদ রাজধানী ঢাকার তিতুমীর কলেজের ¯স্নাতক চুড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার বাবা প্রয়াত ফজুলর রহমান চৌধুরী। নিহতের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায় হলেও মা ও পরিবারের সাথে তিনি রাজধানী ঢাকার মানিকদীর তিন রাস্তার মোড় ঢাকা ক্যান্টনম্যান্ট -১২০৬ আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।,
নিহতের সহপাঠি ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, জায়েদ চৌধুরী সহ ১১ জন বন্ধু ও সহপাঠিরা মিলে ঢাকা হতে বাসযোগে যাত্রা করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পৌছেন বৃহস্পতিবার সকালে।
এরপর তারা স্থানীয়ভাবে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার (নৌকা) ভাড়া নিয়ে বেলা ৩টার দিকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ করেন।,
বিকেলে ওই ট্রলারে করেই উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকায় ফেরেন ভ্রমণকারীগণ।
টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকায় ঘুরাফেরা ও শহীদ সিরাজ লেকে সন্ধা অবধি সকল বন্ধু সহপাঠিরো মিলে ঘুরাফেরা শেষে টেকেরঘাটের সামনে থাকা ছেলাইয়া হাওরের মধ্যবর্তী স্থানে ট্রলার নোঙ্গর করে ট্রলারেই রান্নাকরা রাতের খাবার দাবার শেষে রাত ১টার পর ট্রলারেই রাত্রী যাপনে করেন সবাই। একই রাতে ট্রলারের ভেতর কেক কেটে কোন এক বস্থুর জন্ম দিনের পার্টিও দেন সবাই।
এর পরবর্তীতে সময়ে কোন এক বন্ধুর মুফোফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে জাহেদ চৌধুরী ট্রলার হতে পড়ে গিয়ে হাওরের পানিতে নিখোঁজ হন।
এরপর শুক্রবার সকাল হতে তার সন্ধানে নামেন থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। বিকেল চারটার দিকে মাছ ধরার জাল ফেলে উদ্যার করা হয় জাহেদের মরদেহ।
ঘটনাস্থলে লাশ উদ্যারকালীন সময়ে থাকা তাহিরপুর এসআই পাপেল রায় শুক্রবার রাতে সাড়ে ৮টায় যুগান্তরকে জানান, নিহত জাহেদের মা সৈয়দা ফাতেমা আক্তার শিল্পীর সাথে থানা হতে মুফোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছেলের মরদেহ মর্গে পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি প্রদান করেন।