ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৫ জানুয়ারি ২০১৮।
‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’—ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে কথাটা বাংলাদেশের জন্য অন্তত সত্যি। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা টস জেতার পর জিম্বাবুয়ে ইনিংসের গতিপথ প্রথম ওভারেই ঠিক করে দেন সাকিব আল হাসান। রুবেল-মোস্তাফিজুররা মিলে সেরেছেন বাকি কাজটুকু। তাতে গ্রায়েম ক্রেমারের দলের জন্য দুই শ রান ‘দূরের বাতিঘর’ হয়েই রইল। প্রথম ম্যাচে ৪৯ ওভারেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৭১ রান।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকেরা থিতু হয়ে বসার আগেই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই সলোমন মায়ারকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ওয়াইড ডেলিভারিটি খেলতে গিয়ে মায়ারের পেছনের পা উঠে গিয়েছিল। এ সুযোগে তাঁকে স্টাম্পিং করেন মুশফিকুর রহিম। এক বল পরই আরভিনকে মিড উইকেটে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। তাঁর ঘূর্ণিতে শুরুতেই পথ হারানো জিম্বাবুয়ে পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
অষ্টম ওভারে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপর্যয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন অধিনায়ক মাশরাফি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা ব্রেন্ডন টেলরকেও দ্রুত ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশি এ পেসারের কাটার-স্লোয়ারগুলো আজ উইকেটে বেশ ধরেছে। শেরেবাংলার মন্থর উইকেটে মোস্তাফিজের কাটার-স্লোয়ার বুঝতে বেশ সমস্যাই হয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের।
দলীয় ৮১ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে পথে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন সিকান্দার রাজা। ষষ্ঠ উইকেটে পিটার মুরের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫২ রানে সিকান্দার রাজা রানআউট হলে জিম্বাবুয়ের দুই শ টপকানোর স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে। উল্টো, ৪৮তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন রুবেল হোসেন। কিন্তু পঞ্চম বলটি স্টাম্পেই রাখতে পারলেন না।
সাকিব ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার। অনেক দিন পর সবার মুখে হাসি ফোটান মোস্তাফিজ ২ উইকেট পেয়েছেন ২৯ রান দিয়ে। সানজামুল ও মাশরাফি পেয়েছেন এক উইকেট করে। অন্যান্যদের তুলনায় একটু খরচে হলেও ২ উইকেট নিয়ে একটি মাইলফলকও গড়েছেন রুবেল। তৃতীয় দ্রুততম (৮১ ম্যাচ) বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে শততম উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এ পেসার। ৬৯ ম্যাচে ১০০তম উইকেট নিয়ে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবার আগে এ কীর্তি গড়েছেন আবদুর রাজ্জাক। ৭৮ ম্যাচে এসে একই মাইলফলক ছুঁয়েছেন মাশরাফি।