মো.নাইম তালুকদার : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ :
বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় স্বপ্ন পূরণ হবে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষজনের। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার এত্যেবাহী নোয়াখালী বাজারস্হ সুরমা নদীর ঢালের উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার সর্বশ্রেনীর মানুষজন আনন্দে আত্মহারা। উপজেলার প্রায় অর্ধংভাগ এলাকার হাজার হাজার মানুষজন নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাবে বলে জানাগেছে। উপজেলার চারদিখের আনন্দের ডামা ঢুল বাজছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে এলাকার মানুষজন এই সমস্যায় ভূগছিলেন, কিন্তু কোন রাজনৈতিক মহান নেতা এলাকাবাসীর সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেন নি। তা নিয়ে এলাকাবাসীকে শত-শত বার প্রতিশ্রুতি দিলে ও কাজ করতে কখনও কেউ আসেন নি। আজ শুক্রবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় সরজমিনে গিয়ে সুরমা নদীর তীরে দেখায় যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজারের পাড় থেকে সুরমা নদীর ঢালের উপরে যে ব্রীজ নির্মান কাজ চলছে তা জামলাবাজ গ্রামের লাগবে। এতে উপকৃত হবেন হাওর পাড়ের ও পল্লী অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। যাতায়াত ও শিক্ষা, চিকিৎসায় এলাকার মানুষজনের ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে জানাগেছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার প্রায় চারটি ইউনিয়ন অজোপাড়া গায়ে মতো পানি বন্ধি ছিল, রাতে যাতায়ত ও ডাক্তার দেখাতে কেউ পারতেন না। বর্ষা এলেই আকাশ বেঙে মানুষজনের মাথায় পড়তো। যে রাতে বাজার হাঠে যাওয়া যাবেনা। স্কুল ও কলেজ শিক্ষর্থীরা বিষন চিন্তিত থাকতেন যে, নদী পাড়া-পাড়ার হয়ে স্কুল কলেজে যেত হতো। সকলের সব সমস্যার মুখে কালি দিয়ে সুরমা নদীর ঢালের উপর দিয়ে নির্মান হবে ব্রীজ। আর স্বপ্ন পূরণ হবে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাজার-হাজার মানুষের। নোয়াখালী বাজারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বাসিত সুজন জানান,আমি ছোট থেকেই শুনে আসছি যে আমাদের নদীর উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মান হবে।বার বার বুকভরা আশা নিয়ে বসে থাকতাম। কিন্তু কোন দিন তা হদিস এই পাইনি ব্রীজ নির্মানের। দীর্ঘদিন যাবত শুধু স্বপ্ন দেখে আসছি। যে ব্রীজ হবে আর আমরা নাও বৈঠা থেকে মুক্তিপাব। আর মুক্তিপাবে আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ ছাত্র/ছাত্রীরা।
আজ আমাদের তথা সারা বাংলার গর্ব এম,এ মান্নানের প্রচেষ্টায় নির্মান হবে স্বপ্নের ব্রীজ।আর স্বপ্ন পূরণ হবে হাওড় পাড়ের হাজার হাজার মানুষজনের।আমি এলাকার সর্বস্তরের ও বাজার কমিটির তরফ থেকে তঁাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা ঁতাহার চির কাছে কৃতজ্ঞ।দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি মো. আব্দুল হক জানান,আমি বেশি গ্রামে থাকি না। হঠাৎ মাঝে মধ্যে গ্রামে আসতাম নৌকা দিয়ে নদী পাড় হওয়ার ভয়ে আমি আমার গ্রামেই যাইতাম না।আজ দেখি আইয়া ব্রীজের কাজ চলের। কাজ দেইক্কা আমার মনটা খুব খুশী। আমার এলাকাজুড়ে আনন্দের হাওয়া বইছে। এলাকার মানুষজন এখন বাজার হাঠ খুব আরামে করবে। আর কোন চিন্তা নাই আমি আমার এলাকার পক্ষ থেকে আমাদের গর্ব মন্ত্রীমহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। জামলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা মো. খিজির মিয়া জানান, আমরা মহা-সমস্যা থেকে মুক্তিপাবো আমাদের নদীর উপর দিয়ে যদি ব্রীজ নির্মান হয়। মুক্তিপাবে এলাকার ছাত্র/ছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষজন। শিক্ষা চিকিৎসা যাতায়ত সব ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নয়ন হবে।