ফেনী প্রতিনিধি :
ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন । এর অংশ হিসেবে বুধবার ফেনী শহরের মূল সড়কগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ও ফেনী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো: নূরের জামান চৌধুরী।
ফলের দোকানদার নুরুল আলম হাজার/- টাকা, ট্রাংক রোডে জিয়াউদ্দিন শাহজাহানকে ২হাজার- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। জিরো পয়েন্টে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে মো: শামসুদ্দিনকে ৫শ/- টাকা ও রেজিস্ট্রেসন বিহীন গাড়ি চালানোর অপরাধে জাগীর হোসেনকে ৫শ/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এ সময় জাগীর হোসেন জানান, আমার গাড়িতে স্টিকার লাগিয়েছি। এটি থাকলে সার্জেন্টরা আমাকে আর কিছু বলে না। এজন্য আমাকে প্রতিমাসে লাইনম্যানকে ৫শ টাকা দিতে হয়। জাগীর হোসেনের সি এন জি জব্দ করা হয়।
এ সময় ট্রাংক রোডে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ফলের দোকানদার মো: রাজনকে ৫হাজার/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এসএসকে রোডের রাঁধুনী রেস্তোরার মালিককে রাস্তায় ইট বালু সিমেন্ট রেখে রাস্তা দখল করায় ৩০,হাজার/- টাকা ও মদিনা ট্রেডার্স এর মালিক আবুল হাশেমকে ২০,হাজার/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। এছাড়া ট্রাংক রোডে মোটরসাইকেল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে গোলাম হোসেন, মাকসুদুর রহমান, একরামুল হক এবং শাহাদাত হোসেন রনি প্রত্যেককে ৫শ/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এসব দন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। এ সময় রাস্তা দখল করে রাখা অস্থায়ী দোকান অপসারণ করা হয়।
এছাড়াও ট্রাংক রোডের ১৬ টি প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এসব দন্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: নূরের জামান চৌধুরী।
ফুটপাথ দখল অভিযান তদারকি করতে অভিযানে যোগ দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি.কে. এম. এনামুল করিম। এ সময় তিনি ফুটপাথ দখল না করে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেনী পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা।