বাংলারদর্পন ডেস্কঃ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নিজাম চৌধুরী। নির্বাচনে তার ব্যালট নাম্বার ৩২। আগামী ৬ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে শুরু হবে তিন ধাপের জাঁকজমকপূর্ণ নির্বাচন।
চলছে শেষ মুহুর্তের প্রচারণা। নিজাম চৌধুরী কুমিল্লা, বি.বাড়িয়া, নোয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনের ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করছেন, জানতে চাইছেন তাদের কথা।
নিজাম চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ডায়মণ্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের পরিচালক, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান, ম্যাক্স পাওয়ার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক, কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানির পরিচালক, ট্রেড ব্যালেন্স ইউএস কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট, ট্রেড ব্যালেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এছাড়া তিনি শতাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও রয়েছে নিজাম চৌধুরীর অংশগ্রহণ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নির্বাচন ক্যাম্পেইনের ন্যাশনাল কমিটির সদস্য ছিলেন।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রথম ধাপ বরিশাল, ভোলা এবং পিরোজপুরসহ উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গের ২৯ জেলার ২৯ টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৪৪ হাজার রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তিনটি প্যানেলে ৮১ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ই জানুয়ারি। এ দিন ঢাকা, টঙ্গি, ময়মনসিংহ এবং গাজীপুরসহ ১৩টি জেলার ১৩টি ভোট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০ জানুয়ারি। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্র টিএসসি, জিমনেশিয়াম এবং সিনেট ভবনে ভোট গ্রহণ করা হবে। গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেলে আলহাজ্ব নিজাম চৌধুরী (ব্যালট নং ৩২) নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটাভুটির মাধ্যমে ২৫ জন সিনেট সদস্য নির্বাচিত হবেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে দেশের সর্ব বৃহৎ এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস করেন।
প্রবাসী উদ্যোক্তা আলহাজ্ব নিজাম চৌধুরী ১৯৮১ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে অনার্স এবং ৮২তে মাষ্টার্স করেন। সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ২০০৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিষ্ট্রেশন (ডিবিএ) করছেন।
তিনি বাংলাদেশের ব্যাংকিং, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুতায়তায়ন, কর্মসংস্থান ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দেশি বিদেশি গণমাধ্যমে গবেষক ও আলোচক হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন।