চট্টগ্রাম ব্যুরো : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ বৎসর ০১ জানুয়ারি ২০১৭ হতে অদ্য ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৮ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৪৪টি ম্যাগাজিন এবং ৩,৪৪৫ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি/কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি ৬৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭৪১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এর পাশাপাশি ২৫ হাজার ২৭৪ বোতল ফেন্সিডিল, ১,৪৩৮ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ০৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৫০ লিটার দেশীয় তৈরী মদ, ৬৫৬ কেজি ১৮০ গ্রাম গাঁজা, ৩৬০ গ্রাম হেরোইন এবং ৪০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ঝাউতলা সাহেল নূর গেস্ট হাউজে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ ১৪৩০ ঘটিকার সময় সিনিয়র মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল বর্নিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ তানভির হোসেন (২১), পিতা-মোঃ হোসেন, গ্রাম-মোহনভিলা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, ২। মোঃ ইউসুফ (২০), পিতা-মোঃ হোসেন, গ্রাম-ক্ষয়রাতিপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এবং ৩। মোঃ জাকির হোসেন (২৭), পিতা-মৃত নুরুল আলম, গ্রাম-হলবুনিয়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারদের’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ২০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর ১৯(১) টেবিলের ৯(খ) ধারা মোতাবেক কক্সবাজার জেলার সদর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।