সোনাগাজী প্রতিনিধি : ফেনীর সোনাগাজী থানা ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ইং তারিখে পাক-হানাদার মুক্ত হয়। ৬ ডিসেম্বর ফেনী মহকুমা পাক-হানাদার মুক্ত হয়। প্রতিবছর ফেনী মুক্ত দিবস পালন করা হলেও সোনাগাজী মুক্ত দিসব পালনে ফেনীর নেতাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। ২০১৫ সালে উপজেলা মিলনায়তনে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির উদ্যোগে প্রথমবারের মত সোনাগাজী মুক্ত দিবস পালন করা হয়।
গত ১ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার বিকালে সোনাগাজী উপজেলা পরিষদে প্রস্তুতি সভায় দিসবটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ১০টায় অালোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল অানাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুর রহমান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার সকালে উপজেলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সোনাগাজী মুক্ত দিবসের সকল অনুৃষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুর রহমান জানান, কর্মসুচী পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল তবে জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়ের নির্দেশে সকল কর্মসুচী বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল অানাম জানান, সাব সেক্টর কমান্ডার জাপর ইমাম বীর বিক্রম এর অনুরোধে সোনাগাজী মুক্ত দিবসের কর্মসুচী বাতিল হয়েছে। জাপর ইমাম জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর ফেনী মহকুমা শত্রু মুক্ত হয়েছে। এর অাগে ফেনীর অন্য কোন থানা এলাকা মুক্ত হতে পারেনা।
যুদ্ধকালীন বিএলএফ এর থানা কমান্ডার সাবেক উপজেলা কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন জানান, ৫ ডিসেম্বর রাতে সোনাগাজী থানা শত্রু মুক্ত হয়। অামরা সোনাগাজী মুক্ত দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছি । তবে জাপর ইমাম বীর বিক্রম ফেনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হলে তাঁর সম্মানে অামরা বিকল্প চিন্তা করবো।
ফেনী মহকুমার যুদ্ধকালীন ইন্টেলিজেন্ট শাখার কমান্ডার মফিজুল হক পাটোয়ারী জানান, ৫ ডিসেম্বর সোনাগাজী থানা পাক-হানাদার মুক্ত হয়। ফেনীর কথিত মোড়লরা বরাবরই সোনাগাজীর অর্জনকে অস্বীকার করে। ইতিহাস ধামাচাপা দেয়া যায়না। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঠিক তথ্য জানাতে সোনাগাজী মুক্ত দিবস পালন করা দরকার।