সৌদি আরবের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী গ্রেপ্তার – বাংলারদর্পন  

 

বাংলারদর্পন  | ২৪ নভেম্বর ২০১৭

আরেক ধনাঢ্য ব্যক্তি মোহাম্মদ হুসেন আল-আমৌদিকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তিনি ইথিওপিয়ারও নাগরিক। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হয়ে থাকে, সৌদি আরবের শীর্ষ ধনী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালালের পরই সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক মোহাম্মদ হুসেন আল-আমৌদি।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল মিডল ইস্ট আইয়ের মতে, প্রিন্স বিন তালালের গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছে। আল-আমৌদির গ্রেপ্তারের ঘটনাটিও যথেষ্ট গুরুত্বের দাবিদার। কারণ তিনি অবরুদ্ধ হওয়ায় পুরো একটি দেশের অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে। ইথিওপিয়ায় কৃষি খাত ও হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি খাতেই বিনিয়োগ রয়েছে ‘দ্য শেখ’ নামে পরিচিত আল-আমৌদির। আফ্রিকার দ্রুত উন্নয়নশীল এই দেশে তাঁর বিনিয়োগ ঠিক কত, তা ধারণা করা কঠিন।

এক বিশ্লেষকের মতে, ইথিওপিয়ায় আল-আমৌদি ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, ইথিওপিয়ায় এই ধনাঢ্য সৌদি নাগরিকের যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, সেগুলোয় ১ লাখের মতো মানুষ কাজ করেন। দেশটির বেসরকারি খাতে মোট কর্মজীবী মানুষের সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা ১৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইথিওপিয়ার উন্নয়নের গতি দ্রুততর হওয়ায় গত চার বছরে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।

গ্রেপ্তারের পর থেকেই ইথিওপিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রথম পাতার খবরে পরিণত হয়েছেন আল-আমৌদি। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হেইলেমারিয়াম দেসালেন সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, আল-আমৌদি গ্রেপ্তার হওয়ায় ইথিওপিয়ায় তাঁর বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না। তবে ইথিওপিয়ার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা অবশ্য মনে করছেন, তাঁর দেশের অর্থনীতি শুধু আল-আমৌদির বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল নয়।

যুক্তরাজ্যে আল-আমৌদির মুখপাত্র টিম পেনড্রি বলেছেন, এই ধনাঢ্য ব্যক্তির গ্রেপ্তারে সৌদি আরবের বাইরে তাঁর বিনিয়োগে এখনো প্রভাব পড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *