দিল্লী ও আসাম রণক্ষেত্র

নিউজ ডেস্কঃ
“>নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লী। আন্দোলনে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার গ্যাস এবং লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহতদের মধ্যে পুলিশও রয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

মঙ্গলবার শহরের পূর্বে অবস্থিত ছিলামপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গণমাধ্যমের লাইভ খবরে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারছে পুলিশের দিকে। একটি পুলিশ স্টেশন এবং কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।

< : 2;">প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার বলছে, নতুন এই আইনটি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে নির্যাতিত হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে। কিন্তু আইনটি মুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিকে দুর্বল করবে বলে সমালোচকরা বলছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইট-পাটকেল ছোঁড়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানীর নিউ ছিলামপুর এলাকায় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। এতে কমপক্ষে পুলিশের দুই জন আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা আজিব আমানের বরাতে রয়টার্স জানায়, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল এই প্রতিবাদ… কিন্তু নাগালের বাইরে চলে যায়।

ভারতের ১৭২ মিলিয়ন মুসলিমের (জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ) প্রতি নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। রবিবার দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের আক্রমণের পর ভারত সরকারের প্রতি এই ক্ষোভ আরো শক্তিশালী হয়েছে বলে খবর মাধ্যমগুলো বলছে। সে ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ জন আহত হয়েছে বলে মানবাধিকার গ্রুপগুলো দাবি করে বলেছে।

আসামে আন্দোলনের চিত্র

<, SolaimanLipi; orphans: 2; text-align: justify; widows: 2;">নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার অভিযোগ করে বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভুলপথে পরিচালিত করছে। ‘এটা হল গেরিলা রাজনীতি, তাদের উচিত হবে এটা বন্ধ করা’, বলেন তিনি।

প্রথমে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসামে সবচেয়ে মারাত্মক প্রতিবাদ হয় যেখানে বিক্ষোভকারীরা ভবন এবং ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। আসামে প্রতিবাদের ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হওয়ার খবর বেরিয়েছে। এর পরে নয়া দিল্লীসহ অন্যান্য বড় বড় শহরে ছড়িয়েছে এই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ।

এ (মঙ্গলবার) নিয়ে রাজধানীতে তৃতীয় দিনের মত প্রতিবাদ গড়াল। বিক্ষোভে গুলি করার অভিযোগ করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। বিবিসি জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩ জন বলেছে তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিন্তু পুলিশ বলেছে তাদের ক্ষত তৈরি হয়েছিল ভাঙা টিয়ার গ্যাসের খোসা দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *