সেতু ভেঙে দশ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ – বাংলারদর্পন

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  | ১৩ নভেম্বর ২০১৭।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কাচিহারা গ্রামে কাটাখালি খালের ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। তারা খেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে। আড়াই মাস ধরে এ সমস্যা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ইসলামপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০১ সালে কাচিহারা-পচাবহলা সড়কের কাটাখালি খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার ও প্রস্থ ৫ মিটার। গত সেপ্টেম্বর মাসের বন্যায় সেতুটি ভেঙে পড়ে।

গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানের দুটি গাডার ভেঙে পানিতে পড়ে রয়েছে। মাঝখানের চারটি ভিমও দেবে গেছে। গ্রামের লোকজন নৌকায় খাল পারাপার হচ্ছে। সেতু দিয়ে কাচিহারা, পচাবহলা, সংকরপুর, নতুনপাড়া, নাউভাঙা, ধর্মকুঁড়া, ফকিরপাড়া, পূর্ব আলাই পাড়, পূর্ব পচাবহলা ও পাচবাড়িয়া গ্রামের মানুষ চলাচল করত।

কাচিহারা গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া বলেন, কাচিহারা গ্রামের পাশে কাটাখালি খাল। ওই সেতু পার হয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। এই গ্রামের একমাত্র মসজিদটিও সেতুর ওই পাশে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় গ্রামের লোকজনের বেকায়দা হয়েছে। সেতুটি এমনভাবে ভেঙেছে, সংস্কার করারও উপায় নেই। তবে আপাতত চলাচলের জন্য সরকারি খরচে এখানে একটি বাঁশের সাঁকো হলেও ভালো হতো।

পচাবহলা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলে, প্রায় আড়াই মাস হলো সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এরপর থেকে পাবলো দাখিল মাদ্রাসা, উত্তর পচাবহলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পচাবহলা মডেল একাডেমি স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এখন নৌকায় পারাপার হচ্ছে। প্রত্যেকের যাওয়া-আসার জন্য ১০ টাকা ভাড়া লাগে। এভাবে নৌকা দিয়ে খাল পারাপারে ঝুঁকিও আছে।

কাচিহারা গ্রামের আবদুল জব্বার বলেন, ‘আমাদের চলাচলের জন্য মাত্র একটিই সেতু ছিল। সেপ্টেম্বর মাসে বন্যার শেষের দিকে হঠাৎ একদিন রাতে সেতুটি ভেঙে পড়ে। মাত্র ১৬ বছরের মধ্যেই সেতুটি ভেঙে গেল। বন্যার সময় এই খালে তেমন স্রোতও ছিল না। প্রায় আড়াই মাস হলেও সেতুটি সংস্কার বা চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি সরকার।’

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহসান আলী বলেন, বন্যার পানির স্রোতের কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে এলজিইডির ঢাকা কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই প্রস্তাবটা অনুমোদন হলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *