২৬ অক্টোবর সোনাগাজী পৌর শহরের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে শিশু অটো চালক সোহাগের ছবি।
ফেনী প্রতিনিধি :
শিশু সোহাগ(১৪) । ঘরে অসুস্থ দিন মজুর পিতা , গৃহিনী মাতা ও স্কুল পড়ুয়া ভাই বোন রয়েছে। ঠিক এই সময়ে বই কলম খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে দারিদ্র্যতার কষাঘাতে কচি হাতে অটোরিকশার শক্ত হ্যান্ডেল ধরে আয় রোজগার করতে হচ্ছে । সোনাগাজী পৌর শহরে অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরছেন ছোট্ট শিশু ।
সারাদিন যা পায় তা থেকে মালিকের ৫শ টাকা জমা দিতে হয়। অবশিষ্ট দুই থেকে তিনশ টাকা দিয়েই পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী বাজার করতে হয়। এটি প্রতিদিনের জন্য তার রুটিন কর্মযজ্ঞ । সোহাগ বলেছে, আমি একা নয় , রাস্তায় চলতে আমার মত অনেক খোকাদের দেখতে পাবেন। আমার পরিবারের সাথে অনেকের পরিবারের অবস্থার মিল পাবেন।
জানা যায়, সরকারি ভাবে শিশু শ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও সোনাগাজী উপজেলার খাবার হোটেল, ইটভাটা, ওয়ার্কশপ সহ উৎপাদনমুখি প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক দেখা যায়। উপজেলায় আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে ব্যটারি চালিত অটোরিকশায় শিশু চালকদের সংখ্যা।
অভিজ্ঞতার অভাবে ঘটতে পারে যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনা এবং প্রাণহানি। যাত্রীরা বলেন, এসব শিশু চালকদের গাড়ীতে নিরুপায় হয়ে যাত্রী হতে হচ্ছে। পলাশ অটোরিকশা কোম্পানীর স্বত্বাধিকারি নুরুল আমিন জানান, এসব শিশুদের যারা ঝুঁকিপুর্ন ব্যটারি চালিত অটোরিকশা দিয়ে রাস্তায় নামানোর সুযোগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সমিতির সভা সমাবেশে আমি বার বার শিশু শ্রম বন্ধের ব্যপারে বলেছি ।
সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় পৌর শহরের আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে ব্যটারি চালিত অটোরিকশায় শিশু চালক। দুস্থ এসব পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য তিনি বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত জানান, শিশু শ্রম বন্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা আছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। ছবি- বাহার উল্যাহ