লক্ষিপুরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রোজিনাকে হত্যা

লক্ষিপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মাদ্রাসা ছাত্রী রোজিনা আক্তার (১৫) হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার দুই আসামি। সোমবার লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. দাঊদ হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা এ জবানবন্দি দেন। গ্রেফতার রায়পুর পৌরসভার পশ্চিম কেরোয়া এলাকার বয়াতি বাড়ির আবুল কালামের ছেলে হুমায়ুন ও আব্দুল মতিনের মেয়ে আঁখি আক্তার আদালতকে জানান, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওড়না পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে রোজিনাকে হত্যা করেন তারা।

রোজিনা পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বয়াতি বাড়ির মৃত সফিক মিয়ার মেয়ে এবং হযরত খাদিজাতুল কোবরা নূরানী মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রী।

গত ১১ ডিসেম্বর সকালে মাদ্রাসায় আরবী পরীক্ষা শেষে নিখোঁজ হয় রোজিনা। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক সন্ধান করেও তাকে পায়নি। পরের দিন রায়পুর-মীরগঞ্জ সড়কের সাবেক পৌরসভার কার্যালয়ের ভবনের পেছনের পরিত্যক্ত সুপারি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নয় মাস বয়সে রোজিনাকে দক্ষিণ চরমোহনা গ্রামের আতরউদ্দিন কাজি বাড়ির মৃত রুহুল আমিন ও আয়েশা বেগমের (প্রকৃত বাবা ও মা) কাছ থেকে দত্তক আনেন পৌরসভার বয়াতী বাড়ির সফিক মিয়া।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের মা মনোয়ারা বেগম থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন ও আঁখিকে গ্রেফতার করে।
রায়পুর থানার ওসি লোকমান হোসেন জানান, রোজিনার বান্ধবী আঁখি আক্তার। এই সম্পর্কে ঘটনার দিন রোজিনাকে মাদ্রাসা থেকে ডেকে আলমগীরের কাছে নিয়ে যায় সে।
সেখানে আলমগীর রোজিনাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। রাজি না হলে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে চারজন মিলে ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে রোজিনাকে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া অন্য দুই ব্যক্তির নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *