ফেনীর কিং বোর্ডিং-এ অবাধে যৌন ব্যাবসা : বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও

 

ফেনী প্রতিনিধি : ফেনী শহরের মহিপালে হোটেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মধ্য বয়সী নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, ও শিক্ষার্থীরা  অবাধে যৌনমিলনে রত হচ্ছে। মহিপাল এলাকাসহ ফেনী শহরে কিং বোর্ডিং অবাধ যৌনাচারের নিরাপদ ঠিকানা হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান,

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ বোর্ডিং-এ চলে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের আনাগোনা। এদের অপকর্মের কারণে ঐ হোটেলের আশপাশের দোকানগুলোতে কোন ভদ্রলোক কেনাকাটা করতে যায় না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।

এ রকম অনেকের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে মহিপালের কিং বোর্ডিংয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে অন্তত এক ঘন্টায় ১০/১৫ জোড়া  নারী পুরুষ অবাধ যৌনাচারে মিলিত হতে বোর্ডিং-এ উঠেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই কম বয়সী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অবিবাহিত যুবক যুবতী বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া পরকীয়ায় লিপ্ত মধ্যবয়সী নারী পুরুষের সংখ্যাও কম নয়।

এক পর্যায়ে এক যুবকের সাথে স্কুল ড্রেস পরিহিত এক ছাত্রী ১১টার দিকে হোটেলে উঠে। দীর্ঘ ১ ঘন্টা পর দুপুর ১২ টার দিকে তারা নেমে যায়। এসময়ে উক্ত প্রতিবেদক হোটেলে গেলে কথা হয় ম্যানেজার দুলালের সাথে।

ঐ যুবক আর ছাত্রীর বিষয়ে জনতে চাইলে সে বলে তার হোটেল রেজিষ্ট্রারের ১৪ নম্বর সিরিয়ালে তাদের নাম এন্ট্রি রয়েছে। যুবকের নাম শুভ রায় আর স্কুলছাত্রীর নাম প্রিয়া রায়। তারা নোয়াখালী জেলার চাটখিলের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে হোটেল রেজিষ্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।

দুলাল জানায় সে থানা, পুলিশ,ডিবি,ডিএসবি,এনএসআই সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে একাজ চালিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাবের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোন টাকা খায় না বলে জানায়। এছাড়া কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে তাদের মাসোয়ারা দেয় বলে জানায়। উক্ত প্রতিবেদককেও মাসের শেষে দেখা করা জন্য বলে সে। দুলাল আরো জাানায় বৈধভাবে হোটেল চালাতে গেলে তেমন কোন লাভ নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় দেড় থেকে ২ হাজার টাকা পাওয়া যায় বলে সে জানায়।

বোর্ডিংটির মালিক পৌর এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল হাই। কিন্তু সবাইকে ম্যানেজ করে  সকল অপকর্মের হোতা ম্যানেজার দুলাল। সে অত্যন্ত চতুর ও প্রতারক বলে জানা গেছে। ২০১০ সালে ফেনীর তৎকালীন অতি. পুলিশ সুপার আবু আহমদ আল মামুন ম্যানেজার দুলালকে ৬ জোড়া খদ্দেরসহ কোমরে দড়ি বেঁধে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে আসেন। পরে আদালতের মাধ্যমে জামিনে  মুক্ত হয়ে দুলাল আাবারো কিং বোর্ডিং-এ বেপরোয়া বাণিজ্য শুরু করে।

এ বোর্ডিংয়ের কারণে শুধু ফেনীর যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীরা নয় নোয়াখালী ও কুমিল্লার অধিবাসীরা বিপথগামী হচ্ছে। ফেনীর সচেতন মহল সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *