শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে চোখের আলো নিভে গেলো স্কুল ছাত্রীর

 

 

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে মারিয়াতুছ ফোয়ারা নামে এক স্কুল ছাত্রীর চোখের আলো নিভে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন তার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। মারিয়াতুছ ফোয়ারা শৈলকুপার দ্বীগনগর মনতেজার রহমান মিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও দহকোলা গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে। তাকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো: মুরাদ হোসেনকে ২৩ শে আগস্ট বুধবার গ্রেফতার করে আদালত মাধ্যম কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শৈলকুপা থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন জানান, গত ১৮ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দিগনগর মনতেজার রহমায় মিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক মো: মুরাদ হোসেন ষষ্ঠ শ্রেনীতে ক্লাস নেয়ার সময় ওই ছাত্রীকে স্টিলের স্কেল দিয়ে আঘাত করেন। স্কেলের আঘাত তার বাম চোখে লাগে এবং কেটে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি আরো জানান ওই দিন বেলা অনুমান ২ টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শহরের গোরস্থনের সামনে দীপ শিক্ষা অর্ণিবান চক্ষু ক্লিনিকে নেয়া হলে তাকে আগষ্ট মুর্মুষ অবস্থায় ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। মারিয়াতুছ ফোয়ারা এখন চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিটিউটের ৫৩৭ নং বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার ভর্তি রেজি নং ৭০১। ওসি আরা জানান, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ( ২২ আগষ্ট) ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪। শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে ল গ্রেফতার করে বুধবার তাকে ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনার দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করেছন শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আক্কাচ আলী। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন আহম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত ছাত্রীর বাবা হতদরিদ্র। তার দুই মেয়ে। আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পিতা শরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের চোখ ভাল করতে বিদেশে নিতে হবে। ইতিমধ্যে তার চোখের কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে গেছে বলে ডাক্তাররা আশংকা করেছেন। চোখের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে, কিন্তু সে সমর্থ তার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *