বাংলার দর্পন ডটকম :
দুটি টেস্ট খেলতে আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশ সফরের জন্য দলও ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) ইতিমধ্যে ২৯ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে। সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই এগোচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে আবারো অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আকাশে এক কালো মেঘের হানা।
এবার অবশ্য বাংলাদেশের কারণে নয়, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড ও তাদের ক্রিকেটারদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে আসন্ন টেস্ট সিরিজটি। বেতন-ভাতা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টালমাটাল। দুইশরও বেশি ক্রিকেটার হারাতে চলেছেন চাকরি! এর ফলে প্রায় স্থবির হতে বসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চুক্তিতে বেতন-ভাতা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। এবার সেই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার (৩০ জুন) ছিলো নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করার শেষ দিন। অস্ট্রেলিয়ায় এখন দিন গড়িয়ে রাত। কিন্তু এখনও নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারসহ জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, আজকের (৩০ জুন) মধ্যে বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে চুক্তি বা সমঝোতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর না করলে এক জুলাই থেকে কার্যত অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য হবেন না স্মিথ-ওয়ার্নাররা। কারণ বোর্ডের সঙ্গে তাদের আর কোনো চুক্তি থাকবে না। ফলে অস্ট্রেলিয়ান গমমাধ্যম বলছে, কাল থেকে বেকার হয়ে যাবেন অনেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা।
ধারণা করা হচ্ছিলো, শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে কোনো একটা সমঝোতা হলেও হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলছে, সমঝোতা হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। যে কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার আগামী সফরগুলো। আগস্টে বাংলাদেশ সফরের পর ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিলো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। চলতি বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিরিজগুলো আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসার কথার ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অজিরা। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। দুই বছরে দূর হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শঙ্কা। কিন্তু এবার ক্রিকেটার ও বোর্ডের মধ্যকার দ্বন্দ্বের জের ধরে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিলো।