জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকে যতগুলো অভিযান পরিচালিত হয়েছে, তার সবগুলো থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠী আঘাত হানার আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে। জঙ্গি আস্তানাগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জঙ্গি দমনে প্রো-অ্যাক্টিভ পুলিশিংয়ের একটি ‍উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু সফল অভিযানে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেপ্তার ও নিহত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানগুলো পরিচালনার ফলে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং জঙ্গি দমনে এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বড় ধরনের অন্তরায়। সংসদ নেতা জানান, সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমনে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সরকারি দলের মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ ও স্থিতিশীল হতে জাতিসংঘ তিনটি সূচক বিবেচনা করে থাকে। এগুলো হলো মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে প্রারম্ভ রেখা অতিক্রম করেছে। আর অন্য সূচকটিতে প্রারম্ভ রেখার বেশ কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে দারিদ্র্য হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং অতি দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ করা, দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৬ এবং অতি দারিদ্র্যোর হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সৌদি আরব সফরের ফলে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এ সফল সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

কামরুল আশরাফ খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র বিভাগীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *