নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা এক ডজনের বেশি মামলা। যিনি যোদ্ধাপরাধীর সাঈদির যোদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পর থেকে চট্রগ্রাম জামায়াতকে নাশকতার নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে সাতকানিয়া থানার নাশকতার ১০টি মামলায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। পুলিশ বলছে সেসব মামলায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্চেনা তাই গ্রেফতার করতে পারছেনা। অথচ পুলিশ খুঁজে না পেলেও গত ৫ ডিসেম্বর শাহজাহান চৌধুরী চট্রগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত দুদকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. সফিউল্যার কার্যালয়ে হাজির হয়ে ২০০৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে জব্দকৃত তার একটি গাড়ি এবং গাড়ির কাগজপত্র বুঝে নিলেন। যোদ্ধাপরাধীর সাঈদির যোদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পর থেকে চট্রগ্রাম অঞ্চলে এখন পর্যন্ত যত নাশকতা হয়েছে প্রত্যেকটির ইন্দ্রন দাতা হিসাবে এই শাহজাহান চৌধুরীর প্রত্যক মদদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী ২০০৮ সালে দুর্নীতির মাধ্যমে বিলাশবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়ি কেনার অভিযোগে চট্টগ্রামের একটি আদালত শাহজাহান চৌধুরীকে ১০ বছরের সাজা দেন। সুপ্রিমকোর্ট শাহজাহান চৌধুরীকে সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়ে জব্দকৃত গাড়িটি ফেরত দেয়ার জন্য দুদককে নির্দেশ দিলে ১০টি মামলায় পলাতক শাহজাহান চৌধুরী গত ৫ডিসেম্বর দুদকে হাজির হয়ে সেই গাড়িটি বুঝে নিলেন।