মাে. ইমাম উদ্দিন সুমন, নােয়াখালী প্রতিনিধি :
নােয়াখালীর খালগুলােতে স্থাপনা নির্মাণ, আবর্জনা ফেলা, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার না করায় ছােট-বড় প্রায় ২০০ খালের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক খাল। সে সঙ্গে গত এক মাসের মধ্যে নর্দমায় পরিণত হয়েছে অন্তত ১০টি খাল।
জানা যায়, খাল দখলের ক্ষেত্রে একটি চক্র প্রথমেই ময়লা আবর্জনা ফেলে পানির গতি অাস্তে আস্তে বন্ধ করে দেয়। তারপর এক সময় দেখা যায় ওই সব ময়লা ফেলা স্থান ভূমিতে পরিণত হয়। পরবর্তী পদক্ষেপ জমি দখলের জন্য অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর আস্তে¯ আস্তে¯ ওই খালের ওপর নির্মাণ করা হয় পাকা ঘর। এমনিভাবে দখল করা হচ্ছে নােয়াখালীর প্রবাহমান খালগুলা।
খালগুলােত ময়লা-আবর্জনা ভাসতে দেখা যায়। বর্ষার মৌসুমে এই আবর্জনার পরিমাণ বেড়ে যায় আরাে বেশি। বর্ষায় খালগুলােতে আবর্জনা বেশি থাকায় খালের ময়লা পানি লােকালয়ে ঢুকে যায়। তাতে ভাগান্তিতে পড়ে জনগণ।
নােয়াখালীর বিস্তিত খালগুলাে নদীর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমান ময়লার কারণে এসব খালের পানি নদী পর্যন্ত যেতে পারছে না। যার ফলে দুর্গন্ধ ও মশা মাছির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে এবং নানা রােগ আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার এলাকাবাসী।
ইতােমধ্যে দখল দূষণ ড্রেনে পরিণত হতে চলছে জেলা শহরে মাইজদীর ছাগলমারা খাল, গাবুয়া খাল, সােনাপুর খাল, নােয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খাল, কালিতারা বাজার থেকে মমিননগর খাল, চৌমুহনী বাজার খাল, চৌমুহনী-ছমুন্সি খাল , সােনাপুর হয়ে সুর্বনচর খাল সহ অন্তত ১০টি খাল। অপরদিক ,জেলার ছাট-বড় প্রায় দু’শ খালের মধ্যে বর্তমান অ¯িত্ব সংকট পড়ে জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ছােট বড় অর্ধশতাধিক খাল।
খাল সংস্কা¯ারের জন্য প্রয়াজনীয় বরাদ্দের চাইতে সরকার কম বরাদ্দ দেয়ায় খালগুলাে সংস্ক¯ার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযােগ করেন কর্মকর্তারা।