কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রাণীনগরে সরকারি গাছ কর্তন

 

এ বাশার চঞ্চল :

নওগাঁর রাণীনগরে টেন্ডার ছাড়াই প্রকাশ্য দিবলোকে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সরকারি গাছ কর্তন করেছে মহিলা মেম্বারের স্বামী। রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের সিম্বা বাজার নামক স্থানে এলজিইডি’র রোপণকৃত একটি মেহগনি গাছ প্রকাশ্য দিবালোকে কর্তন করা হয়েছে। যার অনুমানিক মূল প্রায় ৪ হাজার টাকা। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপার শুরু হলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোন মাথা ব্যাথা লক্ষ্য করা যায়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এভাবেই একটি দুইটি করে প্রায়ই এই সড়ক থেকে মূল্যবান সরকারি গাছ কেটে বিক্রয় করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের সিম্বা বাজার নামক স্থানে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টু জনস্বার্থে অজুখানা ও পায়খানা নির্মাণ কাজের বরাদ্দ দেন। নির্ধারিত স্থানের সামনের দিকের সড়কে এলজিইডি’র রোপণকৃত একটি মেহগনি গাছ রয়েছে। গাছটি ভবিষ্যতে মোটা হয়ে উক্ত পায়খানায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনসাধারণের অসুবিধা হতে পারে মর্মে ওই এলাকার মহিলা মেম্বারের স্বামী টুকু প্রাং সহ কয়েক জন মিলে গাছটি কেটে গুম করে দেয়। আর গাছটির গোড়া মাটি দিয়ে ঢেঁকে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে সাংবাদিক যাওয়ায় ঘটনার সাথে জরিত নব্য আওয়ামী লীগ নেতা আলফাজ ফকির নিজের বিরুত্বের পরিচয় দেওয়ার লক্ষ্যে উচ্চ কন্ঠে বললেন, উপর মহল থেকে অর্ডার নিয়ে গ্রামের মান্যমান ব্যক্তিদের পরামর্শে গাছ কাটা হয়েছে। ছবি তুলে কি করবে! কিছুই হবে না! কয়েক দিন আগেই বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় উপজেলার আবাদপুর-কালিগঞ্জ সড়কে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রোপনকৃত প্রায় ২৫/৩০ টি শিশু ও নিম জাতের মূল্যবান সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করেছে ওই এলাকার এক ওয়ার্ড মেম্বার। এই সব ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপার শুরু হলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোন মাথা ব্যাথা লক্ষ্য করা যায়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এভাবেই রাণীনগরের অধিকাংশ সড়ক থেকেই একটি দুইটি করে প্রায়ই মূল্যবান সরকারি গাছ কেটে বিক্রয় করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এ যেন দেখার কেউ নেই।

এব্যাপারে গাছ কর্তনকারি মহিলা মেম্বারের স্বামী টুকু প্রাং জানান, ওই গাছটির জন্য পায়খানায় যাতায়াতের সমস্যা হবে তাই সর্বসম্মতিক্রমে মেম্বার আমাকে গাছ কাটার অনুমতি দিলে গাছটি কেটে জায়গাটা ফাকা করা হয়। এটা সাধারণ মানুষের স্বার্থে করা হয়েছে।

সদর ইউপি’র সিম্বা ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার শুকুর আলী প্রাং জানান, আসলে আমি ওই ভাবে গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি। তাদেরকে বলেছি জনগণের স্বার্থে আপনারা ভাল একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ওখানে কাজ করেন।

উপজেলা এলজিইডি অফিসার শাইদুর রহমান মিঞা জানান, গত বৃহস্পতিবার আমি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিম্বা বাজারে গিয়েছিলাম। যেখানে বাতরুম নিমার্ণ করা হচ্ছে তার সামনে একটি গাছ রয়েছে। গাছটির ডাল-পালা কাটার কথা বলা হয়েছে কিন্তু গাছ কাটার কথা বলা হয়নি। যদি গাছ কেটেই থাকে তাহলে এখনিই আমি বিষয়টি দেখছি। তবে আপনি (সাংবাদিক) এব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে একটু কথা বলেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *