করফাঁকির অভিযোগে মেসির ২১ মাসের কারাদণ্ড

 

বাংলার দর্পন ডটকম :

করফাঁকির মামলায় মেসির বিরুদ্ধে দেয়া বার্সেলোনা আদালতের ২১ মাসের কারাদণ্ড বহাল রাখলেন স্পেনের সর্বোচ্চ আদালত।

বুধবার মেসির করা আপিল খারিজ করে দিয়ে আগের রায় বহাল রাখেন আদালত।

ফলে এখন তার হাজতবাসের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে গণমাধ্যমগুলোতে। মেসিকে জেলে যেতে হচ্ছে এ চিন্তা করে তার ভক্তরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

করফাঁকির মামলায় লিওনেল মেসি ও তার বাবা জর্জকে ২১ মাসের কারদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন বার্সেলোনার আদালত। চলতি বছর ২০ এপ্রিল রিয়েল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে এল ক্লাসিকোতে দূর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানোর প্রাক্কালে আদালত এ রায় দেয়। এরপর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন মেসি। কিন্তু বুধবার তার সেই আপিল খারেজ করে দেন। ফলে বার্সেলোনা আদালতের কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল থাকল। ২১ মাস কারাদন্ডের সঙ্গে আদালত মেসিকে ২০ লাখ ইউরো ও তার বাবা জর্জকে ১৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছিলেন তাও পরিশোধ করতে হবে তাদের।

আন্তর্জাতিক এ ফুটবল তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উরুগুয়েতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করেন মেসি ও তার বাবা। ধারণা করা হচ্ছে কর ফাঁকির অর্থ দিয়েই তারা এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। এরপরেই মেসি ও তার বাবার বিরুদ্ধে এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।

তবে আশার কথা হচ্ছে স্পেনের আইনে শাস্তির সাজা ২ বছরের কম হলে হাজতবাস করতে হয় না দন্ডপ্রাপ্তদের। সেদিক দিয়ে এ সাজা ভোগ করতে কারাগারে যেতে হবে না আর্জেন্টিনার এ ফুটবলার ও তার বাবাকে। তবে এ রায়ের কারণে মেসির ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করছেন সমালোচকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *