এম,তানভীর আলম :
৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুমিল্লার জনজীবন। বেশকিছুদিনের বৃষ্টিহীনতার সঙ্গে জ্যৈষ্ঠের খররৌদ্রে পুরোদস্তুর তেঁতে উঠেছে কুমিল্লা। গতকাল সোমবার কুমিল্লায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪.৪ ডিগ্রি। রাত ১১টার দিকে তা কিছুটা কমে ২৮ ডিগ্রিতে নেমে আসলেও গরমের অতীষ্ঠতা কাটেনি একটুও। একই অবস্থা বিরাজ করবে আজও, তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩৫ ডিগ্রি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি না হলে এ অবস্থা থাকতে পারে আরও ক’দিন।তবে কাল সবচেয়ে বেশি গরম অনুভূত হয়েছে নোয়াখালীতে। সেখানে তাপামাত্রা ছিলো ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করছে কুমিল্লা নগরীসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ। প্রচণ্ড গরমের কারণে রিকশাচালকরা আদায় করে অতিরিক্ত ভাড়া। নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন কোলাহলপূর্ণ এলাকায় বিক্রি হচ্ছে শরবত। তাতে তৃষ্ণা মেটাতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ততথ্যমতে, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে কুমিল্লায় ভারী বৃষ্টিপাতেরসম্ভাবনা নেই। ফলে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এমনকি তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তেও পারে।গতকাল সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরমও বাড়তে থাকে। গরম সহ্য করতে না পেরে অনেক বৃদ্ধ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গরমের শিশুদের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।তারা বলেন, এমন তাপপ্রবাহের সময়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। পাশাপাশি রসালো ফল খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়। এ জন্যস রসালো ফল বেশি করে খাওয়াপ্রয়োজন। মসলাজাতীয় ও মুখরোচক খাবার পরিত্যাগ করে সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই এমন গরমে উত্তম।আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে, গরমের এ সময়টাতে দণি দিক থেকে আসা বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। যে কারণে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে। প্রচন্ড- গরম ও ঘামের কারণে শরীরে অস্বস্তি বেড়ে যায়।