গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক: স্পিকার

 

ঢাকা : জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটি’র চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়াগুলো আজ উপভোগ করছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। একারণে বর্তমানে বেসরকারি মিডিয়া ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার সোনারগাঁও হোটেলে বাংলা টিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, “ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও শোষণহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতা। বর্তমান এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। যার যার ক্ষেত্রে সে সে সচেষ্ট থেকে দেশ গড়ার কাজে নিবেদিত হলে প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও টেকসই উন্নয়নকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার যা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করবে এক অনন্য উচ্চতায়।’’

স্পিকার আরো বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের সূবর্ণ সুযোগের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের প্রসার ও বিকাশে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম বান্ধব সরকার।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা গণতন্ত্রকে সুসংহত করে। গণমাধ্যম দ্বারা জনগণ বিভিন্ন তথ্য জানতে পারে, যার মাধ্যমে জনমত গড়ে ওঠে। সকল প্রতিকূলতার উর্ধ্বে উঠে নির্ভীকভাবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিক সমাজের প্রতি তিনি আহবান জানান।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এসব অর্জন বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত গর্ব ও গৌরবের। নব প্রজন্ম ও প্রবাসীদের মাঝে বাংলার ইতিহাসের গীতিকথা ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে বাংলা টিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ‘বিশ্বে জুড়ে বাংলা ’ এ শ্লোগানকে ধারণ করে বাংলা টিভি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে।

জনগণের সমস্যা, নির্ভুল, তথ্য নির্ভর ও বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বর্তমান উন্নয়নের বাংলাদেশকে প্রবাসীদের মাঝে চিত্রায়িত করার জন্য বাংলা টিভির প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সামেদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বাংলা টিভির চেয়ারম্যান কে এম আক্তারুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যন সৈয়দ গোলাম দস্তগীর (নিশাদ) প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *