বাহুবলী-২ না দেখায় চাকরী থেকেই ছাঁটাই!

বাংলার দর্পন  : বাহুবলী-২ ঝড়ে উত্তাল গোটা ভারত। কাটাপ্পা কেন বাহুবলীকে হত্যা করেছিল সেই উত্তর খুঁজতে গত এক সপ্তাহ ধরেই সিনেমা প্রেমীরা হলমুখী। কিন্তু ২৯ বছর বয়সী মহেশ বাবু ছিল ব্যতিক্রম। তিনি ছয়দিন পার হয়ে গেলেও বাহুবলী দেখেন নি। তাই তো তার কোম্পানি এই খবর শুনে বৃহস্পতিবার তাকে চাকরী থেকেই ছাঁটাই করে দিয়েছে।
তবে চাকরিচ্যুত করার আহে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।কিন্তু মহেশ বাবু কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তাকে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেয়া হয়।কোম্পানির একটি সূত্র দাবি করে, এই অপরাধটা শুধরানোর জন্য কোম্পানি যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেগুলো হেলায় হারান।
মহেশ বাবুর সহকর্মী রাজামৌলিট্রাড বলেন, বস তাকে পুরো একদিনের ছুটি দিয়েছিল সিনেমা হলে যাবার জন্য। তার শুধু কাছের সিনেমা হলে গিয়েই ছবিটি দেখতে হত।আমরা আমাদের অফিসে বাহুবলী বিশাল পোস্টার আমাদের অফিসে লাগিয়ে রাখলেও মহেশ বাবু কখনো ফিরেও তাকাত না।
এরপরও আমরা যখন তাকে সিনেমাটি দেখার জন্য তাকে জোর করি তখন তিনি উত্তর দেন এই সিনেমা দেখলে কি আমার কর মওকুফ হয়ে যাবে। মজা করারও তো একটা সীমা থাকে, তিনি যোগ করেন।
রাজামৌলিট্রাড আরও বলেন, মহেশের কপটতা তখন ধরা পরে যখন সবাই বাহুবলী নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তিনি চুপটি করে বসে থাকেন। বরং মহেশ বাবু ভোজপুরি সিনেমা বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া নিয়েই কথা বলতে বেশি আগ্রহ দেখান।
ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরপর গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের কোম্পানিতে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও দৃঢ় মানসিকতার একটি উচ্চ মান তৈরি করেছি। মহেশ সেই মান স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।তিনি প্রায়ই ছোটখাটো অপরাধ করে থাকেন। তিনি আসলে এই কোম্পানির জন্যই উপযুক্ত নন।
বাহুবলী-২ সিনেমা মুক্তির পর আট দিনেই ৮০০ কোটি রুপি আয়ের ক্লাবে প্রবেশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *