মো:আব্দুর রহিম বাবলু,নাঙ্গলকোট(কুমল্লিা):-রিক্সাচালক বাবুল মিয়া। ৪ সন্তানসহ ৬ জনের পরিবার। রিক্সাচাালিয়ে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে কোনরকম। তাও ২ মাস ধরে বন্ধ। বন্ধ হওয়ার কারণ বাবুলের লাঞ্চে পানি জমেছে। সাথে আছে শ্বাসকষ্ট। নিজের রিক্সাচালানো বন্ধ হওয়ায় পরিবারের গতিও বাঁধা পেয়েছে। যার ফলে নিজের ওষুধ কেনার টাকা জোগার করতে সংসারে স্ত্রী সুমি ও ছোট্ট ৩ মেয়ে ১ ছেলের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাবুল মিয়া আছেন কুমিল্লা নজরুল এভিনিউতে ডাক্তার নীহার রঞ্জন মজুমদারের অধীনে। মাসে মাসে এতটাকা গুনতে ও জোগাড় করতে অসহায় পরিবারটির নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম। সাংবাদিক পরিচয় দিলে কান্নাজড়িত কন্ঠে সুমী বেগম জানান-স্বামীকে বাঁচাতেই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। স্বামীকে যে বাঁচাতেই হবে। কেননা তার উপর ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের ভবিষ্যত রয়েছে। বাবুল মিয়া তথা সুমী বেগমের বর্তমান বাসা লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের শুকতলা গ্রামে জাহাঙ্গীর মিয়া বাড়ি। তবে চাহিদা অনুযায়ী না পেলেও ওয়ার্ড মেম্বার কাশেম মিয়া মাস খানেক দিয়েছেন ২ হাজার টাকা। সুমী বেগম তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন তিনি হয়তো আরো দিবেন। তবে চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভূইয়াসহ লাকসামের আপামর জননেতা-নেত্রীসহ সকলের নিকট প্রার্থনা ও আকুল আবেদন জানিয়েছেন একটু সাহায্যের জন্য। স্বামীকে বাঁচাতে ও দিনরাত আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছেন। এদিকে বিস্তারিত কথা বলে জানা গেছে, বাবুল মিয়া শোকতলা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন ও মৃত আমেনা বেগমের ৫ সন্তানের মধ্যে মেঝু।