ফেনী :
দাগনভূঞায় জাল খতিয়ান তৈরি করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে আশ্রাফ উদ্দীন এরশাদের বিরুদ্ধে।

সে দাগনভুঁইয়া পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের অভিরামপুর গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৮সালে অভিযুক্ত এরশাদ একটি জাল খতিয়ান সৃজন করেন। সে খতিয়ান দিয়ে দাগনভুঁইয়া পৌরসভা পৌর প্রশাসক বরাবরে সম্প্রতি একটি বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা করে। জমির মুল মালিক এরশাদের চাচা শাহজাহান খবর পেয়ে ছুটে যান দাগনভুঁইয়া পৌরসভা ইঞ্জিনিয়ার সেকশনের নকশাকার কামরুল ইসলামের কাছে।
দিনমজুর শাহজাহান তাঁর জমিতে ভাতিজার খতিয়ান সৃজন ও ঘর নির্মানের প্লান দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন । জমাকৃত নথিপত্রে দেখা যায়, আশ্রাফ উদ্দীন এরশাদ. মিজানুর রহমান ও মোরশেদ আলমের নাম বসিয়ে একটি জাল খতিয়ান তৈরি করেন। সেস্থানে খতিয়ানের মুল পৈতৃক সূত্রে মালিক শাহজাহান, প্রতিবন্ধী আবু সুপিয়ান, দেল বাহার ও নুরজাহান বেগম। এ চার জনের নাম বাদ দিয়ে জাল জালিয়াতি করে একটা খতিয়ান সৃজন করেন।
মুল খতিয়ানে চারটি দাগ থাকলেও জালিয়াত চক্র দুটি দাগ দেখিয়ে তাদের তিন ভাইয়ের নামে ভিটা এবং ডোবা ২২.৫০ শতক করে। বহুতল ভবন করার উদ্দেশ্যে একতলা বিল্ডিং করে ফেলেন ৬ শতকের উপর অন্যায়ভাবে। চাচা শাহজাহান আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাতের আঁধারে হয়তো কামরুল ইসলামকে টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গায়েব বা জাল খতিয়ানটি সরিয়ে ফেলতে পারে। নকশাকার কামরুল ইসলাম তাহার চাচা থেক মুল খতিয়ানের একটা কপি অন্যায়ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে রেখে দেন।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ আহমেদের কাছে অভিযোগ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত বাদিকে একটি লিখিত দরখাস্ত দিতে বলেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।