মাে. ইমাম উদ্দিন সুমন, নােয়াখালী প্রতিনিধি:
নােয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় শিশু সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযােগ করে স্থানীয় জামায়াত শিবির ক্যাডার ও ভাড়াটিয়া ভূমিদস্যু।
এব্যপারে চর জব্বার থানায় জিডি করা হয়, জিডি নং- ০৩/২০১৭ইং। ঘটনাটি ঘটে ৫ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের চর পােনা উল্যাহ গ্রামের কােলন মিয়ার বাড়ীতে। সরে জমিনে ও অভিযােগ সূত্রে জানাযায়, একই গ্রামের আইয়ুব আলী ওরফে কােলন মিয়ার স্ত্রী হােছনেয়ারা বেগমের ক্রয়কৃত ৭৩৩নং খতিয়ানের ৭৪শতাংশ ভূমি জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছে চর পােনা উল্যাহ গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের পুত্র নুর ইসলাম ওরফে আবুল কালাম (৪৫), নুর ইসলামের পুত্র ফারুক হােসেন (২৪), আনােয়ার (২০), মৃত আবদুল মালেক মাঝির পুত্র রহুল আমিন (৪০), আবুল কাশেম এর পুত্র নুর উদ্দিন (২৫), মৃত রহুল আমিন ব্যাপারী ছেলে আবুল কাশেম (৪০), মৃত নুরজ্জামান এর ছেলে মােস্ত¯ফা (৪০) সহ অজ্ঞাত কিছু ভূমীদস্যু।
দীর্ঘদিন থেকে ঐ সকল দস্যুরা অস্ত্র সস্ত্র সহকারে ভূমী দখল করতে এলে স্থ¯ানীয় এলাকাবাসীর বাধায় দখল করতে না পেরে হত্যা, গুম, ধর্ষনের হুমকি দিতে থাকে। এতে হােছনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে চর জব্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এতে অভিযুক্তরা ক্ষীপ্ত হয়ে ঘটনার দিন রাত ১২টায় আইয়ুব মিয়ার ঘরে ঢুকে তার পুত্র বধু জামাল উদ্দিনের ৬মাসের শিশু সন্তান রিফাত হােসেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে তার স্ত্রী হালিমা আক্তার (২৪), তার ছােট বােন খালেদা আক্তার (২০) কে ধর্ষন করার জন্য দস্তাদস্তি করে। এতে তাদের শোর চিৎকারে আশ পার্শ্বের লােকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা শোকেছ ভেঙ্গে নগদ ৫০হাজার টাকা এবং ৩ভরি স্বর্ণঅংলকার নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পেট্টল দিয়ে পুরাে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া করে।
গ্রাম বাসীদের সহযােগীতায় ঘরে থাকা হালিমা আক্তার ও খালেদা আক্তার এবং শিশু রিফাত হােসেনকে উদ্ধার করতে পারলেও মুহুত্তেই পুরাে ঘর পুড়ে চাই হয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান নুর ইসলাম ওরফে আবুল কালাম দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় নানা অ-সামজিক কাজে লিপ্ত রয়েছেন। এলাকায় তাদের প্রভাব থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা। এব্যাপারে আবুল কালামের সাথে যােগাযােগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে আদালতে একটি মামলার প্রস্তু¯তি চলছে। বর্তমানে পুরাে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।