ফেনী :
রেজিষ্ট্রি অফিসের নকলনবিশদের চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় ফেনীতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে একদফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন বৈষম্যবিরোধি নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। গত ২৪ দিন সারাদেশে একযুগে এ আন্দোলন চলছে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারিরা।

জানাগেছে, ব্রিটিশ আমল থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের অধিনে আদালত ও রেজিষ্ট্রি অফিসে কমিশনের ভিত্তিতে লিখকের কাজ করেন এক্সট্রা মোহরার বা নকলনবিশগণ। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে আদালতের নকলনবিশদের চাকুরি জাতীয়করণ করা হলেও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন রেজিষ্ট্রি অফিসের নকলনবিশগণ। চাকুরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে গত ১৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে একযুগে কর্মবিরতি পালন করে আসছে নকলনবিশগন।
বৈষম্যবিরোধি নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদ ফেনীর আহবায়ক দিদারুল আলম বলেন, আমরা সরকারি দপ্তরে বসে, সরকারি বালামে, সরকারের নির্দেশনায় কাজ করি কিন্তু আমরা শতভাগ বেসরকারি। আদালতের নকলনবিশদের চাকুরি স্থায়ীকরণ করা হয়েছে কিন্তু আমরা বৈষম্যের শিকার।
যুগ্ন আহবায়ক শেখ ফরিদ বলেন, দলিলের প্রতি পাতার জন্য দলিল গ্রহিতার কাছ থেকে ৬০ টাকা নেয়া হয়, এর মধ্যে নকলনবিশদের ২৪ টাকা দেয়া হয়, বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার একাউন্টে গচ্ছিত রাখা হয়। অথচ আমরা একদিন কাজ না করলে বা অনুপস্থিত থাকলে কোন বেতনভাতা পাইনা। ঈদ পূজা পার্বণে আমাদের কোন বোনাস নেই। এভাবে চলতে পারেনা, এমন বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না।
পরিষদের সদস্য সচিব সামসে তাবরিজ বলেন, বর্তমানে বৈষম্য বিরোধি সরকার ক্ষমতায়। তাই আমাদের জাতীয়করণের দাবি এখন জোরালো হয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধি নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদ ফেনীর উপদেষ্টা সাইফুল আযম, আবদুল্লাহ আলম মামুন, যুগ্ন আহবায়ক দিপ্তি প্রভা, শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।
এসময় ফেনীর সকল সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নকলনবিশগণ উপস্থিত ছিলেন।