বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহ আলম বলেছেন, ২৪’র ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানের আগে কখনো বলা হয়নি ৫২, ৬৯ ও ৭১চিহ্ন মুছে ফেলা হবে। ৭২ এর সংবিধান বাদ দিয়ে সংবিধান পুণঃলিখন হবে। এমন কোন দাবি ৫ আগস্টের পুর্বে বলা হয়নি। এসব এখন কেন বলা হচ্ছে, আবার কেন বিভাজন করা হচ্ছে। এসব বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা করুন।
সোমবার (১১নভেম্বর) সকালে ঐতিহাসিক বেতিয়ারা শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেতিয়ারা শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি জিয়াউল হক জেবুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল ইসলাম।

আরও বক্তব্য দেন, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টি নোয়াখালী জেলা সভাপতি শহীদ উদ্দিন বাবুল, ফেনী জেলা সভাপতি অ্যাড বিমল শীল, খেলাঘর ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ মনির, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি শুভ প্রমূখ।
এর আগে, সকালে বেতিয়ারা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন কমিউনিস্ট পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খেলাঘর, ছাত্র ইউনিয়ন, বিএনপি, শ্রমিকদল, নিজকরা স্কুল এন্ড কলেজ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা এলাকায় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর ৯ বীরযোদ্ধা পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের এই ইতিহাসকে সমুজ্জল করে রাখতে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর পালিত হয় বেতিয়ারা শহীদ দিবস।
নিহত শহীদগণ হলেন, নিজাম উদ্দিন আজাদ (ছাত্র নেতা), সিরাজুম মনির জাহাঙ্গীর, জহিরুল হক ভূঁইয়া (দুদু মিয়া), মোহাম্মদ সফি উল্যাহ, আওলাদ হেসেন, আবদুল কাইউম, বশিরুল ইসলাম (বশির মাস্টার), শহীদ উল্যাহ সাউদ ও কাদের মিয়া।