ফেনী :
ফেনীর ছাগলনাইয়ার পোলট্রি খামারি আবুল কাসেম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকারীরা কাসেমের মুরগী বিক্রির ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করে লাশ পাহালিয়া খালে ফেলে দেয় বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত আলাউদ্দিন মিন্টু (৩৯) ও দ্বীন মোহাম্মদ নয়ন (৩৪) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি ইয়াছিন (৩৫) এখনো পলাতক রয়েছেন। আসামিগন ছাগলনাইয়ার বাসিন্দা।
ভিকটিম আবুল কাশেম নেত্রকোনা জেলার লক্ষীপুর উপজেলার কাকৈরগড় দুর্গাপুর গ্রামের নওশর আলী ছেলে।
এসপি আরও বলেন, খামারি আবুল কাশেম ও ঘটনায় জড়িত সকল আসামি একই এলাকায় চলাফেরার সুবাদে একে অপরের পূর্ব পরিচিত ছিল। গত (১৪ ফেব্রুয়ারি) আবুল কাসেম তার মুরগীর খামারে প্রায় ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার মুরগী বিক্রি করে মর্মে আসামিগণ জানতে পারেন।
এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট; এই সময়ের মধ্যে আটককৃত আসামি আলাউদ্দিন মিন্টু, দ্বীন মোহাম্মদ প্রকাশ নয়ন, এবং পলাতক আসামি ইয়াছিন ভিকটিম কাসেমকে ডেকে নিয়ে যায়।
দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় মিন্টু তার হাতে থাকা গাছের ডাল দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করলে কাসেম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় অন্যান্য আসামিরা কিল, ঘুষি, লাথিসহ এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গোপন করার জন্য ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী কালিদাস পাহালিয়া খালে ভাসিয়ে দেয়।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামি ইয়াছিনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পশ্চিম শিলুয়া বুড়া মিয়ার তাকিয়া সংলগ্ন কালিদাস পাহালিয়া নদী থেকে পোল্ট্রি খামারি আবুল কাশেমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালেহা বেগম লিজা বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।