ফেনী প্রতিনিধি :
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক ফেনী -১ আসন (ছাগলনাইয়া,ফুলগাজী ও পরশুরাম) এর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের মনোনয়ন জমাদানকারী প্রার্থী রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ১৯২৩ সালের শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইনটি ছিল সেকেলে ও সনাতন তথা প্রাচীন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক আরও বলেন, ঐ আইনের কমপেনসেশন এতই কম যে তা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যদিও ১৯৭৪ সালের ৫৩ নং আইন এবং ১৯৮০ সালের ২৬ নং আইনের দ্বারা এর সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাড়ানো হয়েছে। সঙ্গতকারণে ১৯৭২ সালের আরপিও সংশোধন করা উচিত।
কারণ অতীতে ১৯৭২ সালে প্রণীত আইনের রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের তার নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটের ১% ভোট মনোনয়ন পত্রের সাথে দাখিল করতে হয়না কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কেন ১% ভোটের তালিকা জমা দিতে হবে যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও পরিপন্থী তাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার এক আদেশ এই ধারা সংশোধন করে দিলে বাংলাদেশের অনেক বাতিল হওয়া মনোনয়ন পত্র বৈধ হবে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগে, নির্বাহী বিভাগের ৪৮ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সকল ব্যক্তির উর্ধ্বে স্থান লাভ করিবেন এবং এই সংবিধান ও অন্য কোন আইনের দ্বারা তাঁহাকে প্রদত্ত ও তাহার উপর অর্পিত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করিবেন।
অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে ১% ভোটের তালিকা মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে জমা দেয়া বাতিল করতে পারবেন।
এজন্যই মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট সবিনয়ে বিনীত অনুরোধ করছি। জনগণের জন্য আইন কিন্তু আইনের জন্য জনগণ নয়। আইন তৈরি করে জনগণের মঙ্গল ও সেবা করার জন্য। এবং এই আইন জনগণই বা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তৈরি করে। জনগণই সকল ক্ষতার উৎস।