আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে স্টুডগার্ট এ প্রবাসীদের মিলনমেলা

জাৰ্মান থেকে ফাতেমা রহমান রুমা :
একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের অহংকার। প্রবাসীরা, দেশ থেকে বহু দুরে বুকের মাঝে বাংলাদেশ ধারন করি,যতটা পারে দেশের চেতনা, সংষ্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করে যায় ।

অনুষ্ঠান আয়োজক লিপিকা আহমেদ —বলেন আমি খুব চাই যে ,আমাদের পরের প্রজন্ম যারা এই প্রবাসে বড় হচ্ছে ,তারা যেন আমাদের দেশ,দেশের ইতিহাস, দেশের সংষ্কৃতিকে ভুলে না যায়…তার ই বহিপ্রকাশ আমার এই আয়োজন অমর একুশ।
যাতে অংশ গ্রহন করেছেন,জার্মানির বিভিন্ন শহরের সম্মানিত বাংলাদেশিরা ।

জার্মানের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই আয়োজনে যোগদান করে প্রমান করে দিয়েছেন দেশের প্রতি তাদের ভালবাসা . এবং আমার যে মুল উদ্দেশ্য পরের প্রজন্মকে আমাদের ইতিহাস ৫২,৭১.. এক সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া ,সেই সাথে তারা ও যেন একুশে চেতনা নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যায়…সেই মুল ভাবনার সাথে তারা একমত।

লিপিকা আহমেদ আরও বলেন ,আমি বিশ্বাস করি,পৃথিবীর যে কোন স্থানে আমি দাঁড়াই না কেন . আমিই আমার দেশের পতাকা হয়ে দেশ কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরি। আমার এই আয়োজনে,একুশের পুরো ইতিহাস নিয়ে আউসবুর্গ থেকে আগত সম্মানিত জনাব ফজলুর রহমান পুরো আলোচনা বক্তব্য ,সাথে একুশের গান,একুশের কবিতা ,দেশের গানের সাথে নাচ সব নিয়ে পাশে ছিলেন পরের প্রজন্মের তরফ থেকে মিতি (Stuttgart) আদ্রিতা (Köln),ফাত্তাহ ( Frankfurt),নুহা ,অরনিতা আমাদের এ প্রজন্মে কনা ইসলাম ( তাম) তনিমা তাসনিম ( কোলন) পিকু (স্টুটগার্ট) ইউসুফ ( স্টুটগার্ট) রিপন হক ( স্টুটগার্ট) তবলায় হারুন ( রটভাইল) ফাদ ( স্টুটগার্ট)। পুরো অনুষ্ঠানটি তে চমৎকার মিউজিকে ছিলেন রিপন হক ( স্টুটগার্ট) আর সার্বিক ভাবে অনুষ্ঠানে সাহায্য করেছেন মন্জুর আহমদ (স্টুটগার্ট) আর সন্চালনায়, কবিতায় আমি লিপিকা আহমেদ।

আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মেলা। সেই মেলা তে বিভিন্ন শহর থেকে আসা উদৌক্তারা, স্টলগুলো তে ছিল বিভিন্ন মুখরোচক খাবার,( বিরিয়ানি,জর্দা,মিষ্টি,দৈ সিংগারা, ঝালমুড়ি,পিঠা।চিতই পিঠা সাথে বিভিন্ন ভর্তা, দুধ চিতই পিঠা, চটপটি,নুডুলস আর সেই সাথে Li’s wordrobe থেকে ড্রেস,কুর্তি,শাড়ী, গ্যালারী বাই নুসরাত থেকে ছিল নানান রকমের গহনা,টিপ চুড়ি,ফুলের গহনা।আর ও ছিল Nazneen by Zerin Fatema Duisburg থেকে গহনার স্টল।

অমর একুশের মেলার এই আয়োজনে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ।
পুরো অনুষ্ঠানটি যার তত্তবধানে আয়োজিত হয়েছে আহমেদ সোহেল।তিনি বলেন বাংলা ভাষা , বাংলা সংষ্কৃতি ,কে পরবর্তি প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে আমি বদ্ধ্যপরিকর।পাশে চাইবো সকল কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *